শাহরুখ খানের হাত ধরেই বলিউডে ডেবিউ করেছেন দক্ষিণের পরিচালক অ্যাটলি কুমার। আর সেই ছবি বক্স অফিসে ১১০০ কোটির উপর ব্যবসা করে। বড় অঙ্কের লাভ হয় প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজের। জওয়ান মুক্তির আগে অনেকেরই ধারণা হয়েছিল বুঝি বা থালাপতি বিজয় এই সিনেমার অংশ। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তবে যাদের মনে শাহরুখ আর বিজয়কে একসঙ্গে পর্দায় দেখার ইচ্ছে ছিল, সুখবর তাঁদের জন্য। পরের নিশ্চিত করলেন অ্যাটলি। আর তা বিজয় আর শাহরুখকে নিয়েই।
চেন্নাই-তে জওয়ান-ের শ্যুটিং করার সময় অ্যাটলির জন্মদিনে এসেছিলেন শাহরুখ ও বিজয় দুজনেই। এই সময়টাতে বিখ্যাত গান জিন্দা বান্দা-র শ্যুটিংও করেন তাঁরা। ত্রয়ী-র ছবি দেখে উৎসাহ পেয়েছিল ভক্তরা।
টিভি প্রেজেন্টার ও ইউটিউবার গোপীনাথকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনিই ফোন করেন ও আমন্ত্রণ জানান বিজয়কে। রাজিও হয় দক্ষিণের ওই সুপারস্টার। আর সেখানে এসে শাহরুখ খান আর থালাপতি বিজয় নিজেদের মধ্যেই কথা বলে নেয়। তারপর ডাক পড়ে অ্যাটলির।
শাহরুখ বলেন তাঁর জওয়ান-পরিচালককে, সে যদি দুটো হিরো নিয়ে কোনও ছবি ভেবে থাকে তাহলে তাঁরা দুজন করতে তৈরি। পাশ থেকে হ্যাঁ বলে দেন বিজয়ও। অ্যাটলি জানিয়েছেন, ‘আমি জোর কদমে স্ক্রিপ্ট তৈরির কাজ চলেছি। আর সব ঠিক থাকলে আমার পরের সিনেমা এই দুই তারকাকে নিয়েই হবে।’
এদিকে ডিসেম্বরে ডাঙ্কি মুক্তির পর শাহরুখ খান কোন প্রোজেক্টে হাত দেবেন না নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যশরাজের তরফে তাঁদের দুই গুপ্তচর টাইগার ভার্সেস পাঠান সিনেমাটি ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০২৪ সালেই যা ফ্লোরে যাওয়ার কথা। স্বভাবতই এত লার্জার স্কেলে ছবি বানানো যেমন খরচসাপেক্ষ তেমনই সময়সাপেক্ষ। ১-২ বছর লাগবেই ছবি মুক্তি পেতে। আর শাহরুখ যদি অ্যাটলির ছবিতে আগে কাজ শুরু করে দেন তাহলে আরও খানিকটা পিছিয়ে যেতে পারে টাইগার ভার্সেস পাঠান হয়তো।
প্রসঙ্গত, অ্যাটলির বিরুদ্ধে কিন্তু অভিযোগ উঠেছিল জওয়ান সিনেমাটা টুকে বানানোর। অনেকেই দাবি করেন, ১৯৮৯ সালের তামিল চলচ্চিত্র থাই নাডু (মাতৃভূমি)-র প্লট অনুসরণ করে বানানো হয়েছিল জওয়ান। যেটিতে সত্যরাজ শাহরুখের মতো পিতা ও পুত্রের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ভাববেন না এটাই প্রথম। অ্যাটলির উপর টুকলির অভিযোগ তাঁর আগের ছবিগুলিতেও উঠেছিল।
২০১৯ সালের ছবি ‘বিগলি’-র মুক্তির সময়তেও এই একই ঘটনা ঘটেছিল। সেইসময় তেলুগু শর্ট-ফিল্ম নির্মাতা নন্দী চিন্নি রেড্ডি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর সিনেমা ‘স্লাম সসার’-এর সারাংশ টুকে ‘বিগলি’ বানিয়েছেন অ্যাটলি। এর আগে তাঁর ২০১৭ সালের সিনেমা যাতে অভিনয় করেন থালাপথি বিজয় এবং সামান্থা রুথ প্রভু, বিতর্কে জড়ায় রজনীকান্তের মুন্ড্রুমুগামের গল্প টোকার জন্য। অ্যাটলির ২০১৬ সালের সিনেমা ‘থেরি’-ও টুকে বানানো বলে অভিযোগ উঠেছিল।