শর্মিলা ঠাকুর বলিউডের জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রী ছিলেন, অন্যদিকে মনসুর ক্রিকেট খেলতেন। বিবাহের পরেও শর্মিলা তার কর্মজীবনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিলেন।
মনসুর আলি খান পতৌদি-শর্মিলা ঠাকুর
সালটা ১৯৬৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মনসুর আলি খান পতৌদি ও শর্মিলা ঠাকুর। একসময় তাঁদের সেই প্রেম নিয়ে কিছু কম চর্চা হয়নি। মনসুর ছিলেন পতৌদি নবাব, আবার নামী ক্রিকেটার। বিয়ের পর শর্মিলা ও মনসুরের সুখের সংসারে আসে তিন সন্তান, সাবা, সইফ ও সোহা।
সম্প্রতি মা ও বাবাকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন শর্মিলার ছোট মেয়ে সোহা আলি খানা। সোহা এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তাঁর মা শর্মিলা একাই পরিবারের ভরণপোষণ চালাতেন। কারণ তাঁর বাবা মনসুর ক্রিকেট থেকে তেমন কোনও অর্থই উপার্জন করতেন না। যদিও মনসুর একজন নবাবও ছিলেন। সোহা আরও জানান যে, মনসুর কেবলমাত্র আনন্দ উপভোগেপ জন্য ক্রিকেট খেলতেন, টাকার জন্য নয়।
ঠিক কী বলেছেন সোহা?
সোহা ‘জাস্ট টু ফিলমি’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহা বলেছেন, 'আমরা প্রায়শই আমাদের কাছের মানুষজনের দ্বারা প্রভাবিত হই এবং আমার কাছে আমার বাবা একজন বড় রোল মডেল ছিলেন। আমার জন্মের আগেই আমার বাবা ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এরপরও কেবলমাত্র ভালোলাগার জন্য, উপভোগের জন্য ক্রিকেট খেলতেন। যদিও তাতে টাকা পেতেন না, আর বাবা যখন খেলতেন সেটা ছিল ১৯৬০-এর দশক, তখন IPLও ছিল না, কোনোও বিজ্ঞাপনও ছিল না।'
সোহা আরও বলেন, 'আমার মা একাই পরিবারের ভরণপোষণ করতেন, অর্থাৎ সংসার খরচ চালাতেন। কিন্তু আমি সবসময় দেখেছি যে, আমার মা একজন অভিনেত্রী ছিলেন তিনি তাঁর নিজের গোটা জীবনে সবসময় নিজের মনের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করেছেন। মাকে আমি সবসময় বলতে শুনেছি, যেটা মন চায় সেটাই করা উচিত। আমার মা মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন, যেসময় সাধারণত আজকালকার মহিলারা বিবাহ করেন না। কারণ কেউ জানে যে বিয়ের পরও নিজের কর্মজীবন আগের মতো চলবে কিনা। এদিকে বিয়ের কয়েক বছর পরে তিনি মা হয়েছেন, তবুও মা কাজ করেছেন এবং এর পরেও অনেক সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন।'
বিয়ে নিয়ে শর্মিলা
প্রসঙ্গত শর্মিলা ও মনসুর আলি খানের বনিয়ে নিয়ে ৬০-এর দশকে কিছু কম বিতর্ক হয়নি। কারণ, ভিনধর্মে বিয়ে করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। একইভাবে পরবর্তী সময় শর্মিলা কন্যা সোহা আলি খানের বিয়ে নিয়েও কিছু কম সমস্যা তৈরি হয়নি। কারণ, সোহা বিয়ে করেন কুণাল খেমুকে। এবিষয়ে একবার শর্মিলা টুইক ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমার পরিবার ফোর্ট উইলিয়ামে বিবাহ অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল কারণ তাঁরা হুমকির ভয়ে ছিল। কিন্তু ফোর্ট কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেয়নি। পরে তাঁদের এক বন্ধুর বড় বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান করতে হয়।