ছোট পর্দাতে যখন কাজ করছিলেন তখনও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডুর। শুধু যে মিঠাই সিরিয়ালটি হাই টিআরপি দিত তা নয়, সঙ্গে চর্চাতে থাকতেন মিঠাই থুরি সৌমিতৃষা নিজেও। শুধু ভারত নয়, তাঁকে ভালোবাসার মানুষ ভরে আছে বাংলাদেশেও। ডিসেম্বরেই মুক্তি পেয়েছে সৌমিতৃষার প্রথম সিনেমা প্রধান। শুরুতেই দেবের নায়িকা হয়ে করেছেন আত্মপ্রকাশ। তবে খ্যাতি যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে ট্রোলও। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কি সেই নিন্দকদেরই জবাব দিলেন অভিনেত্রী?
ইনস্টাগ্রামে সৌমিতৃষা ভাগ করে নিলেন ‘Friday Reminder’। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘সেই সমস্ত মানুষের থেকে দূরে থাকো যারা তোমার থেকে উপকার পেয়েছে, কিন্তু এমন দেখায় যেন তুমি এদের জন্য কিছুই করোনি।’ বিশেষ কারও দিকে কি ইঙ্গিত করলেন নাকি সৌমিতৃষা?
কদিন আগেই সৌমিতৃষাকে নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছিলেন মিঠাই সিরিয়ালে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করা তন্বী। কারও নাম না করেই সপ্তাহখানেক আগে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় অভিনেতা/ অভিনেত্রী যখন প্রয়োজন ছিল ফলো করে রেখেছিলেন। এখন অনেক দূর পৌঁছে যাওয়ায় আনফলো করে দেওয়া… পোস্টে আন-কোলাব করে দেওয়া। আরও অনেক দূর পৌঁছন…! জানি নিজের প্রোফাইল নিজের ইচ্ছে, তাহলে এত বছর ফলো করে রেখেছিলেন (কেন)? কোলাব করে রেখেছিলেন (কেন)? যার গায়ে লাগবে তার জন্যই পোস্টটা। তবুও চাইব আরও ভালো হোক, ভগবান মঙ্গল করুক'।

সৌমিতৃষার ইনস্টা স্টোরি।
কারোর বুঝতে সমস্যা হয়নি সৌমিতৃষাকে নিয়েই এমন বিস্ফোরক পোস্ট এসেছে তন্বীর থেকে। মিঠাই করার সময় দুই অভিনেত্রী একসঙ্গে একাধিক রিল ভিডিয়ো শেয়ার করে নিতেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মিডিয়া সাক্ষাৎকার যা নেওয়া হত সেটে, সেখানেও দেখা যেত দুজনের গলায় গলায় ভাব। আর তন্বীর এই পোস্ট সামনে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, সত্যিই কি ‘অহংকারী’ হয়ে গিয়েছেন সৌমিতৃষা?
শুধু যে এই স্টোরিতেই তির্যক মন্তব্য করেছেন সৌমিতৃষা এমন নয়। আরেকটি স্টোরি শেয়ার করে নেন তিনি। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আমার অতীতে যায় আমার থেকে বেশি। আমি ওখানে আর থাকি না বেবি। পুরো বাড়িটা বিক্রি করে দিয়েছি আমি।’
আপাতত ছোটপর্দায় ফেরার আর ইচ্ছে নেই বলেই জানিয়েছেন সৌমিতৃষা। বড় পর্দাকে ফোকাসে রেখেই গড়তে চান কেরিয়ার। বেশ খানিকটা ওজন যে কমিয়েছেন তার প্রমাণ তার প্রমাণ তাঁর সদ্য শেয়ার করা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিগুলো। আপাতত তাই ট্রোলকে এড়িয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই বেশি ব্যস্ত প্রধানের ‘রুমি’।