দাদাগিরিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে প্রায়ই থাকে সানার কথা। এমনকী, মেয়ের দুষ্টুমি নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় বাংলার মহারাজকে। আপাতত ইংল্যান্ডে একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থায় চাকরি করছেন সৌরভ-ডোনার একমাত্র মেয়ে।
মা ডোনা নয়, বাবাকেই ভয় পান সানা! জানালেন সৌরভ দাদাগিরিতে।
দাদাগিরির রবিবারের তারকা স্পেশাল এপিসোডে দাদার সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন সম্পূর্ণা লাহিড়ি। আর সেখানেই কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘রবিবার মায়ের ছুটি থাকত। আমি তো মা-কে ভয় পাই। আমার মনে হত এই দিনটা কেন। আমারও ছুটি, মায়েরও ছুটি। সারাটা দিন বকুনি খেয়েই কাটত।’
আর এতে মজা পেয়ে সৌরভ টেনে আনেন মেয়ের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘সানারও মনে হত এই দিনটা কেন। এইজন্য বড় হয়েই ঠিক করেছিল বাইরের কলেজে পড়বে। আর একবার গেল, আসার নাম নেই। রবিবারও নেই, সোমবারও নেই, মঙ্গলবারও নেই।’
এরপর দাদা অভিনেতা জয়জিতের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন, ‘আমি ওর সেলফি দেখি ছেলের সঙ্গে। ও দুর্দান্ত বাবা। বহুবার দেখেছি ওরা বাবা ছেলে ট্রিপে যাচ্ছে। আমার তো দারুণ লেগেছে। আমিও সানাকে নিয়ে এক-দু বার গিয়েছি।’ আর তাতে জয়জিতের জবাব, ‘সবচেয়ে ভালো কী বলতো, আমরা দুজনেই ইনডিসিপ্লিনড। শুয়ে আছি তো শুয়েই আছি। কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করার কেউ নেই। দারুণ কাটে।’
এরপর সম্পূর্ণা সৌরভের কাছে জানতে চান, ‘তোমার ক্ষেত্রে কী? আমি যেমন বাবার মেয়ে। বাবা কোনওদিন আমাকে কোনওকিছুতে না বলেনি।’ এতে মেয়েকে নিয়ে মস্করা করে সৌরভ ফের জবাব দেন, ‘সানা মা-কে এই পকেটে রাখে। বাবাকে এই পকেটে। আমাকে একটু ভয় পায়। কারণ বাবা অনেক কিছুতে না বলে। বাবা একটু স্ট্রিক্ট। মা ওর সঙ্গে পেরে ওঠে না। তাই বলে দেয়, আচ্ছা যা।’ সঙ্গে নিজের ছোটবেলার কথাও ভাগ করে নেন সৌরভ। জানান, তিনি সবচেয়ে বেশি ভয় পেতেন বাবাকেই।
সানা গঙ্গোপাধ্যায় পড়াশোনা শেষ করে চাকরি জীবনে পা রেখেছেন সম্প্রতিই। কলকাতার লরেটো স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য যান ইংল্যান্ডে। সেখানকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে পাশ করেন গ্র্যাজুয়েশন। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের পড়াশোনা তো করছেনই, সঙ্গে চাকরিও করছেন সৌরভ আর ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র মেয়ে।