বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত তসলিমা নাসরিন। এমনকী, নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশ থেকেও তাই বিতারিত আজ। আপাতত লেখিকা দিল্লির বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে ভারতের তরফে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিগোষ্ঠী গুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে এবার খুললেন মুখ।
তসলিমা ফেসবুকে লেখেন, ‘না, যুদ্ধ টুদ্ধ কিছু নয়। পাকিস্তানের ন'টা জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারত। এটার দরকার ছিল। ভারতের ভেতর জিহাদ করতে ঢুকবে, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করবে, আর বিনিময়ে কোনও চড়-থাপ্পড় পর্যন্ত খাবে না, তা তো হয় না।’
আরও পড়ুন: আসছে ‘কুসুম’, ‘রাণী ভবানী’! জি বাংলার এই মেগার শেষ হওয়ার খবর মিলছে, মারা যাবে খোদ নায়িকা?
তসলিমা আরও লেখেন, ‘যেখানে যত জঙ্গি ঘাঁটি আছে, সব উড়িয়ে দেওয়া দরকার। পাকিস্তান যদি নিজেদের জঙ্গি ঘাঁটি নিজেরা উড়িয়ে না দেয়, তবে তা দেওয়ার দায়িত্ব তো ভারতের ওপরই পড়ে।’
পৃথক একটি পোস্টে তসলিমার আবেদন, ‘যুদ্ধ তাহলে শুরু হলো! কারও হাত যেন পারমাণবিক অস্ত্রের ধারে কাছে না যায়!’
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে নিকেশ করা হয়েছে মোট ৯টি সন্ত্রাসবাদী ডেরা। এই হামলায় কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর এটি হল গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার বদলা। যেখানে বেছে বেছে ধর্ম জেনে হত্যা করা হয় পুরুষদের। এমনকী, কারও অভিযোগ, স্বামীকে হত্যা করার পর জঙ্গীরা স্ত্রীদের উদ্দেশে বলেছিল, ‘যাকে মৌদী কো বোলো’। একজন কাশ্মিরী-সহ সেই ঘটনায় মোট ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন…’ অপারেশন সিঁদুরের নিন্দে পাক নায়িকা মাহিরা, হানিয়াদের
খবর মিলেছে যে, জইশ–ই–মহম্মদ, লস্কর–ই–তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ৯টি জঙ্গিঘাটি ধ্বংস হয়েছে। কিছু জায়গায় চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজও। তসলিমার পোস্টের কমেন্ট সেকশনেও দেখা গেল, গোটা ব্যাপারটা নিয়ে ভারতীয়দের উচ্ছ্বাস ও গর্ব। একজ লেখেন, ‘এই অপারেশনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতের স্পষ্ট বার্তা যে ভারত যুদ্ধ চায় না কিন্তু সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় তার অবস্থান অত্যন্ত কঠোর ও আপোসহীন।’ অপরজন লেখেন, ‘হ্যাপি দিওয়ালি! ঘুম ভাঙল, টেলিভিশন পর্দায় সুখবর। কাজ শুরু, শেষ হতে মাসখানেক লাগবে। ভারত বিদ্বেষী দেশগুলি, সাবধান। এবার তোদের পালা।’