মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যদিও সেই আইনের ধার ধারেন নি পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। রবিবার সকালে তাঁর গাড়িই ঠাকুরপুকুর এলাকায় পিষে দিয়েছে ৬ পথচারীকে। রবিবার সকাল থেকেই গোটা কলকাতা এই খবরে সরগরম। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, ভিক্টোর সহযাত্রী, সান বাংলার কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু ইতিমধ্যেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এর আগেই জানা গিয়েছে ওইদিন দুটি পৃথক গাড়িতে ফিরছিলেন সকলে। জানা যায়, পরিচালকের সঙ্গেই ছিলেন অভিনেত্রী ঋ এবং শ্রিয়া। ক্যাবে ফেরেন স্যান্ডি সাহা ও আরিয়ান ফেরেন নিজের গাড়িতে। এদিকে ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্যান্ডি সাহা।
'দ্যা ওয়াল'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্যান্ডি সাহা। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
স্যান্ডি বলেন, তাঁদের নতুন ধারাবাহিক 'ভিডিও বৌমা' টিআরপিতে বেশ ভাল ফল করেছিল। সেই আনন্দেই টিমের বেশ কয়েকজন মিলে শহরের এক পানশালায় সেলিব্রেট করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। শ্রিয়াদি, ভিক্টোদা, ঋ-দি (ঋ সেন)। আরিয়ান ভৌমিক আর তিনি ছিলেন। উদযাপনের পর শনিবার রাতেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান আরিয়ান, তিনি ড্রাইভার নিয়েই গিয়েছিলেন।
এরপর?
উদযাপনের পর শনিবার রাতেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান আরিয়ান, তিনি ড্রাইভার নিয়েই গিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে করেই বাড়ি ফিরে যায়। স্যান্ডি জানিয়েছেন, তিনি সেদিন গাড়ি নিয়ে যাননি। পার্টিমুডে ছিলেন, তাই গাড়ি চালানোর অবস্থা যদি না থাকে! তাই ভেবেছিলেন অন্য কারও গাড়িতে ফিরবেন। এরপর মাঝ রাতে পানশালা থেকে বেরিয়ে তাঁরা ঠিক করেন এক সহকর্মীর জোকার ফ্ল্যাটে গিয়ে পোস্ট পার্টি আড্ডা দেবেন।
স্যান্ডির কথায়, ‘ভিক্টোদা জানায়, তার গাড়িতেই সকলে মিলে আমরা সেখানে যাব। আমি ভেবেছিলাম ভিক্টোদার বুঝি ড্রাইভার আছে। ও জানায়, ও নিজেই চালাবে, আমি বারণ করেছিলাম। তবে রাত হয়ে গিয়েছিল বলে ভিক্টোদা শোনেনি। ও নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল, তবে খুবই খারাপ চালাচ্ছিল। আমি ভয় পেয়ে যাই, বারবার বারণ করতে থাকি। এক পর্যায়ে আমি নেমে যাই এবং ক্যাব বুক করি। ওকেও বলি, গাড়িটা পার্ক করে আমাদের সঙ্গে এসো, শোনেনি।’