করওয়া চৌথ পালন করেন সারা বিশ্বের হিন্দু মহিলারা। বিশেষ করে অবাঙালি হিন্দু মহিলাদের কাছে এটি একটি বড় উৎসব। প্রতিবছর স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস পালন করেন মহিলারা। চন্দ্রোদয় হওয়ার পর স্বামীর হাতে জল খেয়ে তবেই উপবাস ভঙ্গ করেন স্ত্রী। এই বছর ২০ অক্টোবর পালিত হবে করওয়া চৌথ।
করওয়া চৌথ মানে সারাদিনের উপবাস। সারাদিন এক ফোঁটা জল পর্যন্ত খাওয়া যায় না। সারাদিন উপোস থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও শরীরের উপর প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে যে সমস্ত মেয়েদের ডায়াবিটিস আছে, তাদের শরীরে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে। তবে আপনিও যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে উপোস চলাকালীন আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
পূর্ব পরিকল্পনা
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: করওয়া চৌথ শুরু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। আপনি আদৌ সারাদিন উপোস করতে পারবেন কিনা সেটা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখিয়ে নিন তাঁর থেকে।
(আরও পড়ুন: টমেটো-খেজুরের চাটনি তো খেলেন, লক্ষ্মীপুজোয় বানান নারকেলের চাটনি! রইল রেসিপি
কার্বোহাইড্রেট প্ল্যানিং: উপোস করার আগের দিন সুষম খাবার খান। এমন খাবার খাবেন যেটি আপনাকে অনেকক্ষণ সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
ব্লাড সুগার মনিটর: উপোস করার আগেই ব্লাড সুগার মেপে দেখে নিন, সেটি নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা।
উপোস চলাকালীন নিয়ম
ব্লাড সুগার মনিটর: যতক্ষণ উপোস করবেন ততক্ষণ এক ঘন্টা অন্তর অন্তর ব্লাড সুগার একবার চেক করে নেবেন। যদি হঠাৎ করে ব্লাড সুগার কমে যায় তাহলে কিন্তু কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ পানীয় বা খাবার খেতে হবে আপনাকে।
দৌড়ঝাঁপ করবেন না: উপোস চলাকালীন অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করবেন না। এতে আপনার শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
উপোস ভঙ্গ করার পর নিয়ম:
খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন: ব্রত শেষ হওয়ার পরেই একসঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলবেন না। কিছুক্ষণ বাদে বাদে অল্প অল্প করে খাবার খাবেন।
(আরও পড়ুন: হ্যান্ডশেক করতে খুব ভালোবাসতেন, রতন টাটা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন নীরা রাডিয়া)
সুষম খাবার: আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ব্রত শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। এতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে।
ব্লাড সুগার মনিটর: ব্রত শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবশ্যই ব্লাড সুগার মেপে দেখে নেবেন। সেটি ঠিক আছে কিনা। যতক্ষণ না সেটি সঠিক মাত্রায় ফিরে আসে ততক্ষণ এক ঘন্টা অন্তর অন্তর মাপতে থাকবেন ব্লাড সুগার।