বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস প্রতি বছর ২ এপ্রিল পালিত হয়। ২০ﷺ২৫ সালেও এই বিশেষ দিনটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হবে, যার মূল উদ্দেশ্য অটিজ♓ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষিত করা।
অটিজম কী?
অটিজম, যা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার নামেও পরিচিত, এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি বা জটিল স্নায়ুবিক বিকাশজনিত ব্যাধি যা শৈশবকাল থেকেই সাধারণত দেখা দেয়। এটি সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, যোগ𝔍াযোগের অসুবিধা এবং সীমাবদ্ধ, পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণের ধরণ দ্বারা চিহ্নিত। অন্য কথায়, আমরা বলতে পারি যে অটিজম হল একটি মস্তিষ্কের ব্যাধি যা একজন ব্যক্তির অন্যদের সঙ꧋্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এটি শৈশব থেকে শুরু হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
প্রতি বছর জাতিসংঘ এর⭕ একটি নির্দিষ্ট থিম নির্ধারণ করে। ২০২৫ সালে এই দিনটির থিম হল ‘স্নায়ুবৈচিত্র্যের অগ্রগতি এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন’, পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতোই এটি অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা ও অধিকার সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করবে বলে আশা করা যায়।
জাতিসংঘ ২꧟০০৭ সালের ১৮ ডিসܫেম্বর এক সাধারণ সভায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এই দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়। অটিজম বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে এই দিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এই দিনের গুরুত্ব
- অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা।
- তাদের জন্য সঠিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
- অটিজম বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও চিকিৎসার প্রসার ঘটানো।
- পরিবার ও সমাজকে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে উৎসাহিত করা।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে (ASD) আক্রান্ত। অটিজমের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে বিভিন্ন থে🐭রাপি ও শিඣক্ষার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব।
ছেলেদের মধ্যে মেয়েদের তুলনায় চারগুণ বেশি অ♑টিজম শনাক্ত হয়।
বিশ্বꦅ অটিজম সচেতনতা দিবস শুধুমাত্র একটি দিবস নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন। এই দিনে সবাই মিলে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ালে একটি এই শিশুদের একটি সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনদান সম্ভব।