মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ফাঁকা ট্রেনে মাঝবয়সি এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে একজন কুলি তাকে ধর্ষণ করার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় মহিলা জিআরপির কাছে অভিযোগ জানান। জিআরপি অভিযুক্ত কুলিকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে।
আরও পড়ুন: নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার পরও মুম্বইকে মহিলাদের জন্য 'নিরাপদতম শহর' তকমা শিবসেনার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝবয়সি ওই মহিলা তার ছেলেকে নিয়ে একটি দূরপাল্লার একটি ট্রেনে করে বান্দ্রা স্টেশনে পৌঁছন। সেই সময় প্ল্যাটফর্মের অন্যদিকে আরও একটি ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। সেই ট্রেনটি ফাঁকা ছিল। তখন মহিলা ফাঁকা ট্রেনে ওঠেন। তবে সেই সময় ট্রেনে মহিলা এবং অভিযুক্ত কুলি ছাড়া অন্য কোনও যাত্রী ছিলেন না। অভিযোগ সেই সুযোগেই কুলি তাকে ধর্ষণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে মহিলা বান্দ্রা স্টেশনে জিআরপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত কুলিকে খুঁজে বার করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেফতার করে। যদিও এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। জিআরপির এক আধিকারিক জানান, ওই মহিলা কেন বান্দ্রা স্টেশনে অন্য ট্রেনে উঠতে গেলেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত কুলির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে।
অন্য একটি ঘটনা নভি মুম্বইয়ের একটি রেল স্টেশন থেকে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ জানুয়ারি। পুলিশের অনুমান, তাকে ধর্ষণ করে সেখানে রেখে দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধী এবং নাবালিকার পরিবারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নাবালিকা তার নাম বলতে পারেনি। পরিবারের সম্পর্কেও কোনও তথ্য দিতে পারেনি। মেয়েটিকে একটি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তে উঠে এসেছে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে নাবালিকা অপরাধ সম্পর্কেও কোনও তথ্য দিতে পারেনি। এই ঘটনায় পুলিশ ৬৫(১) (ধর্ষণ), ১১৫(২) (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) এবং ৩(৫) ধারার (বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজ করা) অধীনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার আরও তদন্ত করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।