গাজায় ইজরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছিল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং মৌলবাদী সংগঠন। এই আবহে সিলেট, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় তৌহিদ জনতা এবং মৌলবাদীরা আন্দোলনের নামে করলে স্রেফ চুরি, লুটপাট, ভাঙচুর। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইহুদি মালিকানার 'অভিযোগে' কেএফসি, বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাটার শোরুম থেকে জুতো চুরি করে পালাচ্ছে মৌলবাদীরা। এদিকে কেএফসির সামনে কোল্ডড্রিঙ্কসের বোতল ফাটাচ্ছে মৌলবাদীরা। গতকাল রীতিমতো সারাদিন এই তাণ্ডব চলে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল এই তাণ্ডবের সামনে। (আরও পড়ুন: কাশীপুরে ফিরহাদ-অতীনর সামনে TMC-র মা♔রামারি! বসে 'মজা' দেখল BJP,আপনিও দেখুন কাণ্ড)
আরও পড়ুন: কথা মনে হয় কানে যায়নি বাংলাদেশের, মোদীকে 'ছুড়𓃲ে ফেলার' বার্তা 'বিপ্লবী' সারজিসের
এদিকে দিনভর কার্যত 'চোখ বন্ধ' করে থাকার পরে তাণ্ডব নিয়ে রাতের দিকে মুখ খোলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, লুটপাট, ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ গ্রেফতার করবে। এদিকে বাংলাদেশ পুলিশের আইজি বাহারুল আলম দাবি করেন, তাঁদের কাছে হামলার ফুটেজ পয়েছে। সেই থেকে হামলাকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এই নিয়ে সম্মেলন হওয়ার কথা। আর তার আগে বাংলাদেশের এহেন রূপ দেখে স্তম্ভিত বাংলাদেশিরাই। এই হামলাকে 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক' আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। (আরও পড়ুন: 'দায় মমতার…', WAQF জম🌠ি হারানো ভয়ে র⭕েললাইন 'দখল', 'জেলা গুলোলেন' BJP নেত্রী)
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭ এপ্রিল বাংলেশে ১৬টি রেস্তোরাঁ ও বিক্রয় কে💎ন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শোরুমে হামলা চালায় বাংলাদেশিরা। কোকাকোলা, সেভেন আপের মতো কোল্ডড্রিঙ্কসের বোতল মাটিতে আছাড় মেরে ফাটিয়ে দেয় মৌলবাদীর। এই তাণ্ডব চলাকালীন পুলিশকে কোথাও দেখা যায়নি। তবে এখন আইজিপি দাবি করছেন, অপরাধীদের চিহ্নিত করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে। আইজিপি আরও বলেন, ‘সরকার কোনও ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে, প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে করা পোস্টে লেখা হয়, 'সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার𓄧 করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা ‘ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। যারা এই জঘন্য ভাঙচুর চালিয়েছে তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বিরোধী♍ বলে দাবি করেন তিনি।'