ব্যাঙ্ককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের। সেই বৈঠকে বাংলাদেশি হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হমলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মোদী। সেই 'কড়া বার্তার' পরই লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে পৌঁছলেন বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। আর সেখানে নিয়ে তিনি সম্প্রীতির বার্তা দিলেন বাংলাদেশি হিন্দুদের উদ্দেশে। বললেন, 'আমাদের দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ভাই-বোনেরা এক সঙ্গে বসবাস করছে। কারও মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। খানে আমরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি হিসেবে আমরা এখানে এসেছি।' (আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককের বৈঠকে হাসিনাকে নিয়ে ইউনুসকে কী বলেন মোদী? বড় দাবি বাংলাদেশ সরকারের)
আরও পড়ুন: বিতর্কের ধুলো উড়তেই তৈরি ঝাঁটা, ওয়াকফ সংশোধনীর জন্যে গড়া হচ্ছে 'স্পিডব্রেকার'
বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বলেন, 'বাংলাদেশের মত এত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই।' এরপর লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, 'অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নদীর জল বেশি পরিষ্কার ছিল। পুণ্যার্থীর সংখ্যাও এবার বেশি। এবার পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এখানে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট জোরদার। নিরাপত্তার পাশাপাশি এখানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালনে কাজ করে যাচ্ছি।' এদিকে বাংলাদেশি মিডিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমাদের যদি কোনও ভুল থাকে সেটা আপনারা প্রকাশ করেন। তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবেন না।' (আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দেওয়া দ্বীপ ফেরত চাইছেন ভরতীয়রা,জানুন কচ্ছতিভুর বিতর্কিত ইতিহাস)
আরও পড়ুন: ভিসা দেয় না ভারত, এহেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট বিশ্বতালিকায় কত নম্বরে?
উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাঙ্ককে ইউনুসের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মোদী। বৈঠকের পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই নিয়ে মোদী লিখেছিলেন, 'বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। ভারত বাংলাদেশের সাথে একটি গঠনমূলক ও জনকেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অন্তর্ভুক্তি ও গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা রোধের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য আমাদের গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।' আর মোদীর সেই বার্তার পরই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজে লাঙ্গলবন্দে গিয়ে হিন্দুদের উদ্দেশে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন।