ফের একবার জম্মুর আকাশে দেখা মিলল ড্রোনের। এই ড্রোনটিকে এদিন সীমান্তে উড়তে দেখা যায়। জম্মুর আরনিয়া সেক্টরে সেটিকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ জওয়ানরা। যার জেরে সীমান্ত প꧃ার করে পাকি♎স্তানে ফিরে যায় কোয়াডকপ্টারটি। জম্মু সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিএসএফ-এর আইজি এনএস জামওয়াল বলেন, 'কোয়াডকপ্টারটি জিরো লাইন এবং সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ার মাঝের এাকায় উড়ছিল। তখন জওয়ানদের গুলিতে সেটি পাকিস্তানের দিকে ফিরে যায়।'
এদিকে এই ড্রোনটি কোন উদ্দেশ্যে ওড়ানো হয়েছিল, তার খোঁজ লাগাতে তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নীরাপত্তাবাহিনী খোঁজার চেষ্টা করে যে কোনও অস্ত্র বা মাদক এপারে ফেলা হয়েছে🐓 কি না এই ড্রোনের মাধ্যমে। বিএসএফ-এর অনুমান, এই ড্রোনটি সম্ভবত গুপ্তচরবৃত্তির জন্যে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেনার পোস্টের উপর নজরদারি চালাতে এটি ওড়ানো হয়েছিল পাকিস্তানের দিক থেকে। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে জম্মুর বায়ুসেনা স্টেশনে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ড্রোনের সাহায্যে ঘটানো হয়েছিল। এরপরও কাল♕ুচক এবং কুঞ্জওয়ানিতে অবস্থিত সেনা ঘাঁটির উপরেও উড়তে দেখা যায় ড্রোন।
এদিকে অপর এক ঘটনায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিরাপত্তাবাহিনী আর জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুলওয়ামার হানজান রাজপোরা এলাকা। কাশ্মীরের জোন পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের খতম করতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশবাহিনী একটি বিশেষ অপারেশন চালাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক উচ্চাধিকারিক বলেন, 'গোপন সূত👍্রে খবর পেয়ে সামরিক, পুলিশ আর সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ বাহিনী হানজান গ্রামের রাজপুরা অঞ্চলটি ঘিরে ফেলেছে, সেখানে জঙ্গিদের তল্লাশি চলছে।' তিনি আরও জানান নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছানোর পর লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীরাও পাল্টা গুলি চালায় ৷ এইভাবে কাল রাত থেকে এনকাউন্টার শুরু হয়েছে।