বাংলা-সহ ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় SSC MTS এবং CHSL পরীক্ষা হবে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ইংরেজি এবং হিন্দি ছাড়াও আঞ্চলিক ভাষায় এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করছিল একাধিক রাজ্য।
SSC MTS এবং CHSL পরীক্ষা হবে আঞ্চলিক ভাষায়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে মণীশ/হিন্দুস্তান টাইমস)
আরও দুটি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ পরীক্ষায় ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নপত্র আসবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ দফতরের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে বাংলা, অসমিয়া, গুজরাটি, মারাঠি, মালায়ালম, কন্নড়, তামিল, তেলুগু, উর্দু, পঞ্জাবি, মণিপুরি এবং কোঙ্কনি ভাষায় স্টাফ সিলেকশন কমিশনের (এসএসসি) মাল্টি-টাস্কিং (নন-টেকনিকাল) স্টাফ এবং কম্বাইনড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল এগজামিনেশন (CHSLE) পরীক্ষা হবে। সেইসঙ্গে ইংরেজি এবং হিন্দিতেও যেমন প্রশ্ন করা হত, সেটাও করা হবে।
গত শনিবার (বাংলা নববর্ষের পয়লা দিন) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করে যে সেন্ট্রাল প্যারামিলিটারি ফোর্সের (CAPF) কনস্টেবল (জেনারেল ডিউটি) নিয়োগের পরীক্ষা ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় হবে। সেই পথে হেঁটে আজ (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ চাকরির পরীক্ষা (SSC MTS এবং SSC CHSL) ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় নেওয়ার ঘোষণা করেছে কর্মিবর্গ দফতর।
কেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ইংরেজি এবং হিন্দি ছাড়াও আঞ্চলিক ভাষায় এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করছিল একাধিক রাজ্য। SSC পরীক্ষার নিয়মকানুন এবং পাঠ্যক্রম খতিয়ে দেখতে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটি আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখেছে। তারই ভিত্তিতে ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় SSC MTS এবং SSC CHSL পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যে সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি জানান, 'স্থানীয় যুবক-যুবতীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং আঞ্চলিক ভাষায় উৎসাহ প্রদানের জন্য' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সংবিধানের অষ্টম শিডিউলের আওতায় নথিভুক্ত সমস্ত ভাষায় যাতে পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ দফতর।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, গত ৭২ ঘণ্টায় কেন্দ্রীয় সরকার যে বড় পদক্ষেপ করেছে, তা থেকে মনে করা হচ্ছে যে আগামিদিনে ধাপে-ধাপে আরও একাধিক পরীক্ষায় আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নপত্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেষপর্যন্ত হয়ত সব কেন্দ্রীয় সরকারি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।