আজকে�?বাংলাদেশ�?যে ইদ উদযাপন তা মূলত মোঘল আমলেরই উত্তরাধিকা�?বহ�?করছে�?তব�?তা�?চেহারা�?বদলও কিন্তু কম নয়�?ঘর�?আর বাইর�?মেলে সে�?বদলে�?দেখা।বাংলাদেশে�?রাজধানী ঢাকা�?হাইকোর্ট�?জাতী�?ইদগাহ। ইদের দি�?সকাল সাড়ে আটটা�?সেখানে ইদুল ফিতরের নামাজে�?প্রধান জায়গ�?হয়�?ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)-�?ব্যবস্থাপনায় এই ইদগাহে একইসঙ্গে ৩৫ হাজা�?মানু�?নামাজে অং�?নিতে পারেন। বাংলাদেশের একাধিক শীর্�?নেতা �?আধিকারিকরা�?আসেন জাতী�?ইদগাহে।ঢাক�?শহরে�?৪০�?বছরে�?ইতিহাস ফিরে দেখা যা�? এই ধারা�?সূচন�?মোঘল আমলে�?সুবা বাংলার রাজধানী শহরে তখ�?প্রধান জামাতে হাজি�?হতেন সুবাদা�? নায়েবে নাজি�?�?তাঁদের পারিষদ�?১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত সে�?শাহি ইদগা�?ধানমণ্ডিতে টিকে আছ�?প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে�?তালিকাভুক্�?পুরাকীর্তি হিসেবে�?প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে এবার সেখানে হয়েছেন ৩৮�?তম ইদের জামাত। তব�?দেশে�?সবচেয়ে বড় ইদের জামা�?ঢাকা�?নয়, প্রা�?২০�?বছ�?ধর�?সেটা হয়�?আসছি�?কিশোরগঞ্জে�?শোলাকিয়ায়। হালে তাকে আবার টেক্কা দিয়েছে দিনাজপুরের গোরে শহিদ ময়দান।বর্তমা�?জাতী�?ইদগাহে�?আগ�?ঢাকা শহরে ইদ জামাতে�?কেন্দ্রবিন্দ�?ছি�?বঙ্গবন্ধ�?জাতী�?স্টেডিয়া�?(তখনকার ঢাকা স্টেডিয়া�? এলাকার খোলা মাঠ। �?বিষয়�?বিবর�?পাওয়�?যা�?সৈয়দ আল�?আহসানে�?‘ষাট বছ�?আগের ঢাকা' বইয়ে�?তিনি সে�?ইদগাহে আসার স্মৃতিচারণ করেছেন এভাব�? ‘সকালবেল�?থেকে�?ঢাকা�?বিভিন্�?এলাক�?থেকে এলাকাবাসী পুরুষর�?নতুন-নতুন পোশা�?পর�?বিরা�?নিশা�?বহ�?কর�?ঢো�?বাজাতে বাজাতে মিছি�?কর�?ইদের ময়দানে উপস্থি�?হত।’ইদে�?জামাতে সাধারণ�?পুরুষরাই যান। তব�?কোনও কোনও ইদগাহে নারীদে�?জন্য�?আলাদ�?ব্যবস্থা থাকে�?যতটা জানা যা�? ঢাকা�?প্রথ�?নারীদে�?ইদের জামা�?হয়েছ�?ব্রিটি�?আমলে�?�?প্রসঙ্গে ‘ঢাকার ইতিবৃত্ত: ঐতিহ্য �?সংস্কৃতি' বইয়ে মোহাম্মদ আবদু�?কাইউ�?লিখেছে�? ‘১৯৩�?সালে �? মুহম্ম�?শহিদুল্লাহ�?ইমামতিতে কার্জন হল�?মহিলাদের প্রথ�?ইদের জামা�?অনুষ্ঠিত হয়�?শোনা যা�? মহিলাদের জামাতে ইমামতি করতে তখ�?কে�?রাজি হননি।’ই�?জামা�?ঘিরে বাংলাদেশ�?রাষ্ট্রী�?�?সামাজি�?পর্যায়ে যে আনুষ্ঠানিকতা তা, মোঘল ঐতিহ্য বহ�?করছে বল�?মন�?করেন বাংলাদেশের উৎসব-পার্বণ গবেষ�?ইমরা�?উজ-জামান। ডয়চে ভেলে বাংলাক�?তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইদ উৎসবের যে প্রচলন, তা মূলত মোঘল আম�?থেকে শুরু�?সাম্রাজ্�?বিস্তারে মোঘলরা যেদিকে যেতে�? সেখানে যদ�?ইদের সম�?ঘনিয়�?আস�? তখ�?তারা ঢা�?পিটিয়ে এলাকাবাসীকে জানিয়ে দি�?কোথা�?ইদের জামা�?হবে। মোঘলদে�?বড় কোনও কর্মকর্ত�?সেখানে উপস্থি�?থাকবেন, তা-�?ফলাও কর�?প্রচার কর�?হত�?এটাও ছি�?একটা আকর্ষণী�?বিষয়।’ই�?উৎসবের সাথে লোকজ সংস্কৃতি কতটা সম্পৃক্ত- এম�?প্রশ্ন�?‘রঙ্গে ভর�?বঙ্গ'�?প্রতিষ্ঠাত�?�?পরিচাল�?ইমরা�?উজ-জামা�?বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব লোকমেল�?রয়েছ�? সেগুলো�?সঙ্গ�?মন্দির �?হিন্দু ধর্মী�?অনুষ্ঠানের সম্পর্�?বেশি�?মুসলমানদের ধর্মী�?উৎসব�?একমাত্�?মেলা বসতো চকবাজারে, যেটা তখ�?ইদ মেলা নামে পরিচিত ছিল। ঢাকা �?আশপাশে�?লোকশিল্পীরা সারা বছ�?এই মেলা�?জন্য অপেক্ষায় থাকতেন�?তাদে�?পণ্য এখান�?এন�?বিক্রি করতেন।কমিটির হাতে চাঁদ!ইদুল ফিতরের আগ�?ধর্ম বিষয়�?মন্ত্রকে�?দুটি কমিটির ব্যস্ততা থাকে�?এর একটি জাতী�?সাদাকাতু�?ফিতর নির্ধারণ কমিটি। অন্যটি জাতী�?চাঁদ দেখা কমিটি। ফিতর�?নির্ধারণ কমিট�?এর�?মধ্য�?তা�?কা�?শে�?করেছে। তাদে�?ঘোষণামতে, এবার ফিতর�?জনপ্রত�?সর্বোচ্চ �?৬৪�?টাকা �?সর্বনিম্�?১১�?টাকা�?১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারে�?প্রথমবারের মত�?ঘোষি�?ফিতর�?ছি�?দু�?টাকা�?দু�?টাকা থেকে ১১�?টাকা�?যে উল্লম্ফন তা থেকে মূল্যস্ফীতি�?একটি পরিসংখ্যান সহজে�?বে�?কর�?যায়। কারণ, ভোগ্যপণ্যে�?দা�?তুলন�?করেই ফিতর�?নির্ধারি�?হয়।এদিকে চাঁদ দেখা কমিটির দিকে দুটি বিষয়�?তাকিয়ে থাকে বাংলাদেশের মানুষ। রমজানে�?চাঁদ দেখা গিয়েছে কিনা- তাদে�?সে�?ঘোষণ�?জেনে রোজা পালন শুরু করতে হয়�?ইদের চাঁদ নিয়ে�?�?কমিটির ঘোষণাই শে�?কথা। তব�?চাঁদপুরস�?দেশে�?কিছু এলাকার মানু�?আবার বাংলাদেশ নয়, সৌদি আরবে�?সরকা�?ঘোষি�?চাঁদ দেখা�?সঙ্গ�?মি�?রেখে উদযাপন কর�?থাকেন।চাঁদ দেখত�?কমিট�?বসলে�?জনসাধারণ ২৯ রোজা�?ইফতা�?সেরে আকাশ�?চাঁদ দেখা�?চেষ্টা করে। মসজিদগুলোর মিনারে উঠ�?আকাশ�?চাঁদের খোঁজ কর�?শিশু-কিশোররা। বি�?শতকে�?আশ�?নব্ব�?দশকে ঢাকা শহরে ছাদে ছাদে চাঁদ দেখত�?ভি�?লেগে যেত। এখ�?আকাশের চেয়ে সবাই বেশি নজ�?রাখে টিভিতে কিংব�?অনলাইন সংবাদমাধ্যমে�?সে�?সুবাদারি আমলে, নবাব�?আমলে এম�?ব্যবস্থা ছি�?না�?তখ�?চাঁদ দেখা গেলে ঢাকা�?তোপধ্বনি কর�?হত�?সে�?শব্দ�?অনেকেই ইদের দি�?সম্পর্কে ধারণ�?পেতেন।নবাবদে�?ঢাকা�?চাঁদ দেখা�?চেষ্টা হত�?আহসা�?মঞ্জিল থেকে�?কে�?কে�?বুড়িগঙ্গার বুকে নৌযানে চেপে যেতে�?আকাশটা ঠিকঠাক চোখে�?নাগালে আনতে�?তব�?সেকালে ইদের চাঁদের চেয়ে�?রমজা�?মাসে�?চাঁদ নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা যেত। সে�?সময়ে�?সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়�?বইয়ে তা�?প্রমাণ মেলে�?‘উনি�?শতকে�?ঢাকা�?সমাজ-জীবন' গ্রন্থ�?আব�?যোহা নু�?আহমদ লিখেছে�? ‘সেকাল�?রমজানে�?চাঁদ দেখা�?জন্য আহসা�?মনজি�? বড় কাটারা এব�?হুসন�?দালানে�?ছাদে ছেলে, যুবক, বৃদ্�?দল�?দল�?যাইয়�?দাঁড়াইত।’পোশাক�?ইদ, ভোজন�?ইদইদ এল�?ঘর�?ঘর�?যে আনন্�? তা�?প্রকাশ থাকে পোশাকে-আশাক�? খাবা�?দাবারে�?দোকানমালিক সমিতির তথ্য তথ্যানুসার�? এই কারণ�?ইদকে কেন্দ্�?কর�?লেনদেন হত�?পারে এক লা�?৮০ হাজা�?কোটি টাকার। তব�?ইদকে সামন�?রেখে বাংলাদেশ�?সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পোশাকে�?বাজার। তৈরি পোশা�?�?থা�?কাপড়ের অন্যতম বৃহৎ পাইকার�?মার্কে�?রাজধানী ঢাকা�?ইসলামপুরে। প্রাপ্�?তথ্যমত�? ইদুল ফিতরকে কেন্দ্�?কর�?প্রা�?১০ হাজা�?কোটি টাকা�?কেনাকাটা হয়�?থাকে এই মার্কেটে।আর্থি�?টানাপড়েন পেরিয়ে ইদের দি�?সবাই নতুন পোশা�?পরার চেষ্টা করেন�?এট�?ইদ উৎসবের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। হালে তা�?তৈরি পোশাকে�?বাজারে যে ভি�?জম�?থাকে, এট�?আগ�?ছি�?থা�?কাপড়ের দোকানে এব�?দর্জিপাড়ায়�?এই পরিবর্তন নিবিড়ভাব�?দেখেছে�?ঢাকা�?সমাজ �?লোকসংস্কৃত�?গবেষ�?শায়ল�?পারভিন�?ডয়চে ভেলেকে তিনি বলছে�? এখ�?তৈরি পোশা�?কেনা হলেও আগ�?প্রচলন ছি�?ইদের পোশা�?দর্জ�?দিয়ে বানানো�?থা�?কাপড় কিনে আন�?হত�?আবার বো�?বা বান্ধবীরা মিলে এক�?নকশা, এক�?রঙের পোশা�?তৈরি করার প্রচলন ছিল। এখনকার প্রজন্�?এস�?চর্চ�?জীবনেও করবে না।কাপ�?কিনে পোশা�?দর্জ�?দিয়ে বানানো�?বদলে তৈরি পোশা�?কেনা�?প্রবণত�?কব�?থেকে শুরু হল, তা জানত�?চাইল�?ঢাকা�?আদ�?বাসিন্দা শায়ল�?পারভিন বলেন, ‘রেডিমেড জামাকাপড় এল যখ�? গার্মেন্টস শুরু হল তখ�?থেকে�?সেটা আশির দশকে�?শেষদিক থেকে�?শুরুতে মেয়েদে�?চেয়ে ছেলেরা�?বেশি তৈরি পোশা�?কিনতো। তখনো সেভাবে ব্র্যান্�?আসেনি। আড়ংয়ের মত�?ব্র্যান্�?আসার পর মেয়েরা�?রেডিমে�?পোশাকে ঝুঁক�?পড়ে।’সময়ের সঙ্গ�?সঙ্গ�?ইদের খাবা�?দাবারে�?পরিবর্তন এসেছে। দোকা�?থেকে প্যাকেটজাত সিমু�?কেনা�?বিষয়টি এখ�?জনপ্রিয়। কিন্তু একটা সম�?রমজা�?মাসে�?মাঝামাঝি থেকে পিতলের মেশিনে ঘর�?সেমা�?তৈরি কর�?হত�?বিগত ১০�?বছরে�?এই অঞ্চলে�?ইদ উদযাপনের চিত্�?তুলে ধর�?হয়েছ�?বাংলাপিডিয়ায়�?সেখানে উল্লেখ আছ�? ‘ই�?উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ ছি�?বিশে�?ধরনে�?খাওয়া-দাওয়া�?মফঃস্ব�?�?গ্রামাঞ্চলের খাবারে�?মধ্য�?থাকত কোর্মা-পোলা�? ঘর�?প্রস্তুত নানা রকমে�?পিঠা, সিমু�?�?শিউল�?বোটা�?রঙ�?মাখানো জর্দা।.. তব�?শহরে �?দেশীয় উপাদানের অভাব ছিল। ইদের খাওয়া�?তালিকায় প্রধান হয়ে উঠ�?ঘর�?তৈরি মিষ্টান্ন।’ই�?ঘিরে নতুন পোশা�?পর�?বেড়ানো�?বিষয়টি এখনো দারুণভাবেই আাছে�?আবার প্রতিবেশী, স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে ভালো-মন্দ খাওয়�? ইদের এই সম্প্রীতি আজ�?অমলিন। তব�?এখ�?ঘরের পাশাপাশি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার প্রচলন বেড়েছে�?বাঙালি জীবন�?ইদেও এই পরিবর্তন দেখা যায়।(এই খবরট�?আপনি পড়ত�?পারে�?HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়�?HT App ডাউনলো�?করার লিঙ্�?http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)(বিশে�?দ্রষ্টব্�?: প্রতিবেদনট�?ডয়চ�?ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে�?সে�?প্রতিবেদনই তুলে ধর�?হয়েছে�?হিন্দুস্তা�?টাইম�?বাংলার কোনও প্রতিনিধ�?এই প্রতিবেদ�?লেখেননি।)