Bangladesh: হাসিনার দলের সাংসদ জেল থেকে ছাড়া পেতেই বেদম মার! কোনও মতে উদ্ধার করল সেনা

আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েও বিশেষ লাভ হল না! জেল থেকে বেরোতে না বেরোতেই কপালে জুটল বেদম মার! শেষমেশ সেনাবাহিনীর সাহায্যে কোনও মতে মিলল 'রক্ষা'! মারমুখী একদল মানুষের হাত থেকে আক্রান্তকে বাঁচাতে আবারও তুলে দেওয়া হল সেই পুলিশেরই হাতে! এই ঘটনা বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের ফটকের সামনে ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড তিনি কোনও যেমন-তেমন ব্যক্তি নন। তিনি হলেন - বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) কেন্দ্রের প্রাক্তন সংসদ সদস্য আবদুল আজিজ। তাঁর সম্পর্কে যেটুকু তথ্য সামনে আসেছে, তা হল - মধ্যবয়সী আবদুল আজিজ একজন পেশাদার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। একটা সময় ঢাকা শিশু হাসপাতালের শীর্ষ পদও সাংমলেছেন তিনি।পরবর্তীতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ-এর সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লিগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দিন - অর্থাৎ - ২০২৪ সালের ৬ অগস্ট সেদেশের রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ফলত, বাকি সংসদ সদস্যদের মতো আবদুল আজিজকেও তাঁর সাংসদ পদ হারাতে হয়।বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে - খুনের চেষ্টা এবং বিস্ফোরক মামলায় পরবর্তীতে আবদুল আজিজকে গ্রেফতার করা হয়। যার জন্য দীর্ঘদিন কারাবাসও করতে হয় তাঁকে। কিন্তু, দিন তিনেক আগে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। এবং সেই নির্দেশ মোতাবেক, গতকাল (মঙ্গলবার - ৮ এপ্রিল, ২০২৫) স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ আবদুল আজিজকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিকে, আবদুল আজিজ যে জামিন পেয়েছেন, সেকথা চাউর হতেই মঙ্গলবার সন্ধের পর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের ফটকের সামনে কিছু লোক জমায়েত করতে শুরু করে। অভিযোগ, আবদুল আজিজ কারাগারের ফটক থেকে বের হতেই এই জমায়েত তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁরা পোশাক ধরে টানাটানি করা হয়, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং জোর করে একটি গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়।আবদুল আজিজকে মারধর ও হেনস্থার একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। অভিযোগ করা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসির মেহেদির নেতৃত্বেই প্রাক্তন সাংসদের উপর এই হামলা চালানো হয়।তবে, শেষ পর্যন্ত হামলাকারীরা আবদুলকে তুলে নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ, ততক্ষণে ঝামেলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। তারাই আক্রান্ত প্রাক্তন সাংসদকে কোনও মতে উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে স্থানীয় থানার হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।