সম্প্রতি গুজরাটের বরোদায় মুখ্যমন্ত্রীর স্কিমে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছিল এক মুসলিম মহিলাকে। তবে নীচু আয় গোষ্ঠীর হাউজিং কমপ্লেক্সে সেই মুসলিম মহিলাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করায় বিক্ষোভ দেখান সেখানকার আবাসিকরা। এই ঘটনায় গুজরাট হাই কোর্টকে স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলা করার আবেদন জানানো হয়েছিল অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির তরফ থেকে। তবে সেই আবেদনে কর্ণপাত করল না উচ্চ আদালত। এই নিয়ে গুজরাট হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল বলেন, 'তিনি (যে মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ) নিজে এসে পিটিশন দাখিল করতে পারেন। তাঁর সামর্থ রয়েছে। তিনি আসুন। আমরা অর্ডার পাস করব। যদি বরাদ্দের পরও তাঁর হাতে ফ্ল্যাট হস্তান্তর না হয়, তাহলে তাঁকে অভিযোগ করতে দিন। তবে এটা জনস্বার্থের বিষয় নয়।' (আরও পড়ুন: 'হিমশৈলের চূড়া', নিট তদন্তে সামনে এল নয়া তথ্য, সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না NTA)
আরও পড়ুন: NSG-র নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ধরতে ব্যর্থ, ১.৬৬ কোটির জরিমানা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে
আরও পড়ুন: জীবন বিমার নিয়মে বড় পরিবর্তন আনল আইআরডিএআই, কী বলছে নয়া বিধি?
উল্লেখ্য, এই সরকারি প্রকল্পে একমাত্র একজন মুসলিম মহিলাকেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছে। যে হাউজিং সোশাইটিতে এই ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হয়েছে, সেখানে ৪৬২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার মধ্যে ৩৩টি ফ্ল্যাটের মালিক সেই মুসলিম মহিলাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান বলে রিপোর্ট করা হয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে। এই নিয়ে জেলা শাসককে একটি স্মারকলিপিও জমা করেন বিক্ষোভকারীরা। সেই ফ্ল্যাট মালিকদের অভিযোগ, হাউজিংয়ে কোনও মুসলিম এসে থাকলে সেখানে ঝামেলা হতে পারে। পাশাপাশি বরোদা পুরসভার মেয়র এবং কমিশনারকেও এই মর্মে চিঠি দেন বিক্ষোভকারী সেই ৩৩ জন ফ্ল্যাট মালিক। বিক্ষোভকারী ফ্ল্যাট মালিকদের দাবি, যেখানে এই হাউজিং সোসাইটি অবস্থিত, সেটি 'ডিস্টার্বড এরিয়া আইনে'র আওতাভুক্ত। তবে বরোদা জেলা শাসক বিএম শাহ জানান, গুজরাট ডিস্টার্বড এরিয়া আইন কোনও সরকারি হাউজিং স্কিমের ওপর প্রযোজ্য হয় না।
এই আবহে সেই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে গুজরাট হাই কোর্টকে স্বতপ্রণোদিত হয়ে এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে একটি মামলা করার আবেদন জানান অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্রিজেশ ত্রিবেদী। তবে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল সেই মামলায় স্বতপ্রণোদিত মামলা করতে চাইলেন না। এদিকে অ্যাডভোকেট ব্রিজেশ ত্রিবেদী আদালতে দাবি করেন, এই মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঘটনায় বরোদা পুরসভা কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাদের বক্তব্য, এই নিয়ে শুধুমাত্র আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।