আর্থিক জালিয়াতিতে দোষী সাব্যস্ত হলেন দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্পোরেট। শিকাগোর এই স্টার্ট-আপে তাঁদের বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্পোরেট জালিয়াতি চালানোর অভিযোগ ছিল। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। সংস্থার গ্রাহক, ঋণদাতা এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। আরও পড়ুন: WFH Fraud: ঘরে বসে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে ৮০ কোটির প্রতারণা, ফাঁদে ১০০০ মহিলা
দশ সপ্তাহের বিচার প্রক্রিয়ার পর, মঙ্গলবার বিচারকরা স্বাস্থ্য প্রযুক্তি সংস্থা আউটকাম হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও ঋষি শাহকে ২২টি অভিযোগের মধ্যে ১৯টিতে দোষী সব্যস্ত করেছে। সেই সঙ্গে সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শ্রদ্ধা আগরওয়ালকে ১৭টির মধ্যে ১৫টিতে দোষী বলে জানিয়েছে। সংস্থার অপারেটিং অফিসার ব্র্যাড পার্ডির নামও রয়েছে তালিকায়।
বছর ৩৭-এর ঋষি শাহের বিরুদ্ধে পাঁচটি মেল জালিয়াতি, দু'টি ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং দু'টি অর্থ পাচারের অভিযোগ ছিল।
শাস্তি
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় মার্কিন মুলুকের আইন অনুযায়ী আসামীদের ৩০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হতে পারে। বাকি অপরাধের জন্যও ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এখনও শাস্তির মেয়াদের ঘোষণা করেনি আদালত। পরবর্তী শুনানিতে তা জানানো হবে।
ঠিক কী করেছিলেন এঁরা?
এটা জানতে হলে সংস্থার বিজনেস মডেলটা জানতে হবে। আউটকাম হেলথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশেপাশের চিকিত্সকদের চেম্বারে-চেম্বারে গিয়ে টেলিভিশন স্ক্রিন এবং ট্যাবলেট বসিয়ে আসত। একেবারে বিনামূল্যে। যে চেম্বারে রোগীরা অপেক্ষা করেন। এরপরে তারা সেই স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন চালাত। এই বিজ্ঞাপনগুলি তারা মূলত ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলির থেকে জোগাড় করত। তাছাড়া বিমা সংস্থা ও অন্যদের থেকেও অ্যাড তুলত।
এদিকে এই মামলায় প্রমাণ তুলে ধরা হয় যে, প্রচুর বেশি বেশি স্লট, বেশি স্ক্রিন দেখিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির থেকে বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা নিত সংস্থা। মানে ধরুন, কোনও ওষুধের কোম্পানিকে বলা হল, আপনাদের বিজ্ঞাপন দেশের ৫,০০০ চিকিত্সকের চেম্বারে রোজ ২ ঘণ্টা চলবে। কিন্তু বাস্তবে জরিপ করে দেখা যাবে, হয় তো মাত্র ২,০০০ চেম্বারে ১ ঘণ্টা করে বিজ্ঞাপন চালানো হচ্ছে। এদিকে টাকা নেওয়া হচ্ছে সেই বেশি স্ক্রিনের রেটেই।
শুধু তাই নয়। চেম্বারে চেম্বারে যে ট্যাবলেট দেওয়া হত, সেটাও খুব বেশি রোগী ব্যবহার করতেন না। কিন্তু অ্যাড তোলার জন্য তা বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেখাত আউটকাম হেলথ।
সেই কারণেই সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষেপে যায় ফার্মা সংস্থাগুলি। আইনের দ্বারস্থ হয় তারা। আরও পড়ুন: শুধু পুরসভায় চাকরি দিয়ে ৪০ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল, ভাগ হয়েছে ৭৫ - ২৫
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক