পরবর্তী খবর
Modi meets Iran President: ভারত চাইলে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে পারে, মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বার্তা ইরানের প্রেসিডেন্টের
2 মিনিটে পড়ুন . Updated: 23 Oct 2024, 01:16 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Modi meets Iran President: ভারত চাইলে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে পারে, মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বার্তা ইরানের প্রেসিডেন্টের
Share একদিকে ইজরায়েল, অন্যদিকে ইরান। দুই দেশই পরস্পরকে একের পর এক হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে। দুই পক্ষেরই দাবি, তারা তাদের উপর হওয়া হামলার প্রতিশোধ নেবে। এর জেরে পশ্চিম এশিয়ার অবস্থা অতি সংবেদনশীল এক পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে।
এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার কাজানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন উপলক্ষে দু'দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন মোদী।
এই মুহূর্তে পশ্চিম এশিয়ায় যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসারও পরামর্শ দিয়েছে নয়া দিল্লি।
গত প্রায় একবছর ধরে হামাস জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ইজরায়েলের। অন্যদিকে, হেজবোল্লার সঙ্গেও যুদ্ধ চলছে পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এই রাষ্ট্রের।
এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে উঠেছে। ইজরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা এই হামলার প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বে।
এমনই এক প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার কাজানে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে ভারত কি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারে?
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মত হল, অবিলম্বে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরানো দরকার। এবং 'সেই প্রক্রিয়ায় নয়া দিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।' কারণ, ভারত হল এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার সংশ্লিষ্ট সবক'টি দেশেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলও এই বিষয়ে সহমত পোষণ করছে যে, ভারত হল সেই দেশ, যার সঙ্গে বিবাদে জড়ানো পশ্চিম এশিয়ার সবক'টি দেশেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তাই, ভারত অবশ্যই এই বিষয়ে এক অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সপ্তাহ তিনেক আগে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী।
শুধু তাই নয়। ইউক্রেনের উপর রুশ হামলা, এবং পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেও ভারত লাগাতার এই দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পক্ষে সওয়াল করে চলেছে। প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও মোদীর সুসম্পর্ক রয়েছে।
ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক:
এবারের রুশ সফরে মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে মোদীর বৈঠকের সময় ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সম্পর্ক আরও মজবুত করার পাশাপাশি চাবাহার বন্দর এবং আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি:
মোদী-পেজেশকিয়ানের বৈঠকের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্ত্রী জানান, এই আলোচনা 'অত্যন্ত ইতিবাচক' হয়েছে।
একইসঙ্গে বিদেশ সচিব বলেন, 'দুই নেতাই পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেভাবে ওই অঞ্চলে সংঘাত বাড়ছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার পালা চলছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারত যে আমজনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পক্ষে রয়েছে, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি স্পষ্ট করেছেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।'
বিক্রম মিস্ত্রী আরও বলেন, 'প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন। এবং তিনি জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।'
