মহারাষ্ট্রের নাসিকে গরুর মাংস নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার অভিযোগে বৃদ্ধকে মারধর করার অভিযোগ উঠল ৫ রেলযাত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটির ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে এই নিয়ে। এদিকে সেই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামালা রুজু হয়েছে। যদিও রবিবার বেলা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বসার জায়গা নিয়ে ট্রেনে বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল যুবক এবং সেই বৃদ্ধের মধ্যে। এরপর এক সহযাত্রী অভিযোগ করেন, বৃদ্ধ নাকি গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছেন। এরপরই শুরু হয় গালাগালি, চড়-লাথি। সেই বৃদ্ধ এরপর বারবার দাবি করেন, তিনি ছাগলের মাংস নিয়ে যাচ্ছেন, গুরর মাংস না। কিন্তু সে কথা মানতে চাননি হামলাকারীরা। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ধলে এক্সপ্রেসেকে ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটি যখন মহারাষ্ট্রের ইগতপুরীর কাছে ছিল, তখন সেই বৃদ্ধের ওপর চড়াও হয়েছিল এই ৫ যুবক। (আরও পড়ুন: ভাইরাল ছবিকে 'ফেক' প্রমাণ করতে 'ভুয়ো' পোস্ট? 'ট্রোল' হচ্ছে কলকাতা পুলিশ)
আরও পড়ুন: 'এ সমাজ বড় বিষাক্ত…', আরজি কর কাণ্ডের আবহে ফেসবুকে পোস্টে কাকে তোপ দেবাংশুর?
আরও পড়ুন: 'পুলিশও মা...', ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া বাহিনী, একের পর এক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়
ঔরঙ্গাবাদের প্রাক্তন সাংসদ তথা এআইএমআইএম নেতা ইমতিয়াজ জলিল সেই ঘটনাটি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে থানে জিআরপি জানিয়েছে, বৃদ্ধকে নিগ্রহের দায়ে জনা পাঁচেক যাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নিগৃহীতের নাম হাজি আশরফ মুনিয়ার। তিনি থাকেন জলগাঁওয়ে। ট্রেনে করে কল্যাণে মেয়ের কাছে যাওয়ার সময়ে তিনি ট্রেনে হেনস্থার শিকার হন। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'আরজি কর কাণ্ডে ৫ তারিখ ভালো খবর আসতে পারে বলে জানিয়েছে CBI')
আরও পড়ুন: টাওয়ারে-বয়ানে মিলছে না অঙ্ক, আরজি কর কাণ্ডে পলিগ্রাফ টেস্টে কাটছে রহস্যের জট?
এদিকে এর আগে হরিয়ানায় বাংলার যুবককে খুন করা হয় গরুর মাংস খাওয়ার 'অপরাধে'। জানা গিয়েছে, মৃত যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা ছিলেন। নাম - সাবির মল্লিক। গরুর মাংস খায়, এই সন্দেহেই নাকি হরিয়ানাতে সাবিরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারে গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা। পরে একটি খালের ধার থেকে উদ্ধার হয় সাবিরের দেহ। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানা পুলিশ সাবিরের খুনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে না। পরিবারের সদস্যদের কথায়, এলাকায় কাজ না পেয়ে প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয় কয়েক জন যুবককে নিয়ে হরিয়ানায় যান সাবির। নিহত যুবকের শ্যালকও তার সঙ্গে গিয়েছিল সেখানে কাজ করতে। সেই শ্য়ালকের সঙ্গেই বাড্ডা থানা এলাকায় থাকতেন বছর তেইশের সাবির। সেখানে কাগজ কুড়নোর কাজ করতেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার গো-রক্ষা কমিটির সদস্য়রা তাঁকে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে।