গত কয়েকদিন ধরে একাধিক বাঘের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেই আবহে বাঘের চোরা শিকারের অভিযোগে অসম রাইফেলসের এক প্রাক্তন জওয়ানকে গ্রেফতার করল মহারাষ🤡্ট্র পুলিশ। ধৃতের নাম লালনেইসুং। মহারাষ্ট্র পুলিশের সিট বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিলং থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। ২০১৫ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন ওই জওয়ান। গ্রেফতারের পর লালনেইসুংকে শুক্রবার চন্দ্রপুরে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ১০ বছর ধরে রয়েছে বহু গণ্ডার ꧟হত্যার অভিযোগ, অসম থেকে গ্রেফতার কুখ্যাত চোরাশিকা♔রি
তার বিরুদ্ধে বাঘের চোরাশিকার এবং বন্যপ্রাণীদের অঙ্গ বিক্রির চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দিন পাঁচেক 💧আগে বন্যপ্রাণীদের চোরা শিকারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। তারপরেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চোরাশিকারের অন্যতম মূল পান্ডা অজিত রাজগন্ড ওরফে অজিত পারধির সঙ্গে তার অনলাইনে ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। সেই সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চোরাশিকারের পর্দা ফাঁস করার জন্য দিন পাঁচেক আগেই সিট গঠন করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সিটের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালায় বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (ডব্লিস🦹িসিবি)।
বাজেটের লাইভ আপডেট: ব♍িহার জিততে মরিয়া বিজেপি, বাজಞেটে একের পর এক উপহার নির্মলার
গ্রেফতারের পর ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন বিভাগের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, চোরাচালানের নেটওয়ার🐼্ক একাধিক রাজ্যে বিস্তৃত। এছাড়াও, এই চক্র উত্তর-পূর্ব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত। এরসঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। অনুমান করা হচ্ছে, অজিতের ভাইও এর সঙ্গে জড়িত। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ও বন বিভাগ।
এই চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সিট বাঘের বেশ কিছু 🐼দেহাংশ উদ্ধার করেছে। সেগুলি ফরেন্সিকের জন্য নাগপুরের বন্যপ্রাণী গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজকুমারী নামে আরও একজন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩ সদস্যের সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন তাড়োবা টাইগার র🅠িজার্ভের ডেপুটি ডিরেক্টর (কোর) আনন্দ রেড্ডি ইয়েলু। এদিকে, চন্দ্রপুরের প্রধান বন সংরক্ষকের গঠিত ১২ সদস্যের অন্য একটি সিটও এই ঘটনার তদন্ত করছে। এই দলে রয়েছেন, ডিসিএফ স্বেতা বড্ডু, ডিএফও পবন কুমার জং, ডিএফও শচীন শিন্ডে প্রমুখ।