ঝপ করে বেড়ে গিয়েছে গ্যাসের দাম। একটাকা, দু টাকা নয়, একেবারে ৫০ টাকা বেড়ে গিয়েছে গ্যাসের দাম। মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। এক ধাক্কায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে গিয়েছে। এরপরই এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তিনি লিখেছেন, ' বাহবা নন্দলাল
হাজার টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল।' তিনি লিখেছেন, বিজেপি সরকারের বিকাশের ভাবনা মনে হচ্ছে সাধারণ ভারতীয়দের পকেট থেকে একেবারে শেষ টাকাটাও কেড়ে নেবে। জরুরী ওষুধ থেকে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস প্রতিটি প্রয়োজনই ধীরে ধীরে লাক্সারি হয়ে যাচ্ছে।
পরিবারগুলির সঞ্চয় কমছে, পাহাড়প্রমাণ ধার, এবার ঘরগৃহস্থালী বাজেটেও আঘাত হানছে সরকার। বিজেপি কেন্দ্রে সরকার চালাচ্ছে না, এরা মানুষের পকেট থেকে টাকা বের করে নিচ্ছে।' দাবি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর।
বাস্তবিকই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জেরে সমস্য়ায় পড়বেন অনেকেই। বাজেট কিছুটা হলেও বাড়বে সাধারণ মানুষের। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্টের পরেই পালটা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
তিনি লিখেছেন, 'মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়…
আমরা এলপিজি সিলিন্ডার সাধ্যের মধ্যে দিয়েছি আমাদের গ্রাহকদের, অতীতে, ভবিষ্যতেও এটা দেব। এমনকী সর্বশেষ মূল্য পর্যালোচনার পরেও ১৪.২ কেজির এলপিজি গ্যাস আগে দাম ছিল ১০২৮ টাকা। এখন উজ্জ্বলা যোজনায় সেটা ৫৫৩ টাকায় মিলছে(কমছে ৪৭৫ টাকা)। আর সাধারণ গ্রাহকরা সেটা পাচ্ছেন ৮৫৩ টাকায়( ১৭৫ টাকা ছাড় পাচ্ছেন)।
এই বিপথে চালিত না করে আপনি বলুন রাজ্যে পেট্রল ও ডিজেলের উপর থেকে কবে আপনি ভ্যাট তুলবেন?
ভুলবেন না প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক্সাইস ডিউটি দুবার কমানো হয়েছিল। একবার ১৩ টাকা আর একবার ১৬ টাকা। পেট্রল- ডিজেলের জন্য। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ও ২০২২ সালের মে মাসের জন্য। এরপর আবার ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ওএমসি দুটি ক্ষেত্রে ২ টাকা করে কমিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি একবারও ভ্য়াট কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষের উপর থেকে বোঝা কমে…না, সেকারণে লেকচার দেবেন না, আগে রাজ্য করটা কমিয়ে দেখান।'
একদিকে যেমন রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন মমতা, তেমনি পালটা তার ব্যাখা দিলেন বিজেপি নেতা। তবে এসবের মাঝে পড়ে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষই।