করোনার টিকা নেওয়ার পর অনেকে মানুষের হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে, এইমস গোরখপুরের একটি গবেষণায়। তাতে দাবি করা হয়েছে, কোভিশিল্ড নেওয়ার পর এই সব মানুষের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা দেখা গিয়েছে। যদিও খুব কম রোগীর মধ্যেই𓂃 এই স꧋মীক্ষা চালানো হয়েছে। এই অবস্থায় এ নিয়ে আরও বড় আকারে গবেষণা করার প্রয়োজন বলে সুপারিশ করা হয়েছে গবেষকদের রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: জীবন বদলে দিয়েছে ﷽কোভিড-১৯, গত পাঁচটি বছর এই কারণেই অন্য সব সময়ের চেয়ে আলাদা
গোরখপুরের এইমস হাসপাতালের গবেষক অবিন কুলাথনকল ও মহম্মদ আবু বশর এনিয়ে রোগীদের মধ্যে সমীক্ষা চালান। চলতি সপ্তাহে তাঁদের সেই স🦩মীক্ষার রিপোর্ট একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেন। তাতে দাবি করা হয়েছে, সব মিলিয়ে ২৭০৮ জন রোগীর উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই সমস্ত রোগীরা বেশিরভাগই কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন।এই প্রতিষেধক নিয়েছিলেন প্রায় ৭০ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যে ১১১৪ জন মারা গিয়েছেন। বাকিরা সুস্থ হওয়ার পর বাড়ি ফিরেছিলেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের ৩১ শতাংশের এই হৃদযন𓃲্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছে। যদিও সমস্যা আগে থেকে ছিল নাকি কোভিশিল্ড নেওয়ার পর হয়েছে তা অবশ্য গবেষণায় বলা হয়নি।
মূলত, যাঁদের হৃদরোগ ধরা পড়েছে তাঁরা করোনার টিকা নিয়েছিলেন বা কোন টিকা নিয়েছিলেন? এসব নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। রিপꦛোর্টে বলা হয়েছে, এই রোগীদের অনেকেই শ্বাসজনিত সমস্যা ও স্নায়ুর সমস্যাও ভুগছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি। অন্যদিকে, টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে পুরুষদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও মহিলাদের তুলনায় বেশি।
যদিও রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, করোনার টিকা নেওয়ার কারণেই ওই রোগীদের মৃত্যু হয়েছে কি না এমনটা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। তার জন্য আরও গভীরভাবে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন গবেষকেরা। স্বাস🌟্থ্যকর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, করোনার টিকার কোনও বিকল্প সেই সময় ছিল না। এখনও পর্যন্ত এর বিকল্প নেই। টিকা নেওয়ার পরে স্বাভাবিক কারণেও অনেকে মারা গিয়েছেন। ফলে এরজন্য টিকাকরণকে দায়ী করা ঠিক নয়।