গতবছর যখন লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত চরমে, ঠিক তখন ইসলামাবাদকে ড্রোন বিক্রি করার কথা ঘোষণা করে বেজিং। পাকিস্তানকে ড্রোন দেওয়ার নেপথ্যে কোন ছক কষছে জিনপিংয়ের চিন? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ছিল সেই তখন থেকে। বেশ কয়েক ধাপে জবাব মিলেছে এর আগেও। যদিও জম্মুতে বায়ুসেনার স্টেশনে হওয়া হামলা চিনের আসল ছকের উপর থেকে যেন পর্দা তুলে দিয়েছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিড🧜োর ও গদর বন্দরে নজর রাখতে ইসলামাবাদকে চারটি অস্ত্রবাহী ড্রোন দিয়েছিল বেজিং। এরপরই ভারতীয় গোয়েন্দারা দাবি করে, অস্ত্র চোরাচালানে পাকিস্তানের নয়া ভরসা চিনা ড্রোন।
ল🍒াদাখ সংঘাত চলাকালীন গত বেশ কয়েক মাস ধরে কাশ্মীর সীমান্ত পার করে মাদক ও অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। সেই প্রচেষ্টা ছিল অভিনব। ড্রোনের মাধ্যমে সেই পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল পাকিস্তান। তবে অবশ্য কিছুটা শান্ত হয় উপত্যকা। তবে কাশ্ম✤ীরি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের পরই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে জম্মু ও কাশ্মীর। কোথাও এসপিও-র মৃত্যু, তো কোথাও ড্রোন হামলা। আর চিন যেন এই অশান্তিটাই চাইছিল।
চিনের পরিকল্পনা যেন, ভারত কাশ্মীরে যত ব্যস্ত থাকবে, তত লাদাখে তাদের সুবিধা। কাশ্মীর শান্ত হলে চিনের ফোকাস লাদাখে গিয়ে পড়লে তাতে সমস্যায় পড়বে চিন। উল্লেখ্য, কোনও শত্রু দেশে অশান্তি তৈরি করতে অস্ত্র সরবরাহের কৌশল চিন এই প্রথম নেয়নি। মিয়ানমারের বিচ্ছনতাবাদীদের কাছেও বহু ক্ষেত্রএ চিনা রকেট লঞ্চার পাওয়া গিয়েছে। ভারতের෴ উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করে তুলতেই সেখানে জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় বেজিং। সেই একই কৌশলে চিনা ড্রোন পৌঁছে যাচ্ছে কাশ্মীরি বিচ্ছিনতাবাদী জঙ্গ✱িদের হাতে। এদিকে সূত্রের খবর, শুধু চিন নয়, তুরস্ক থেকেও ড্রোন পাচ্ছে চিন।
এর আগে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হেরোইন চোরাচালান ও ভারতের সীমান্তে অস্ত্র পাচার💖ের জন্য পাকিস্তান ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে গতবছর থেকেই গোয়েন্দারা আশঙ্কা করেছিল যে সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে বোমা বয়ে আনার কাজেও লাগানো হতে পারে ড্রোনগুলিকে। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই জম্মু বায়ুসেনা স্টেশনে হামলা চালানো হয় জঙ্গিদের তরফে। এবং সেই হামলার নেপথ্যে যে ইসলামাবাদের হাত রয়েছে সে ইঙ্গিত সেনা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। আর এর ফলে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে যে চিনা সাহায্যে ইসলামাবাদ এই ছক কষছে।