নিজের শপথ গ্রহণের দিনই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায় শোনা গিয়েছিল তাঁর নামের প্রশংসা। তিনি - ঊষা ভান্স। মর্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের স্ত্রী। তাঁর সম্পর্কেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'জেডি ভান্সের থেকে বেশি স্মার্ট ঊষা। সম্ভব হলে ঊষাকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতাম।' এহেন ঊষার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং নারিকত্ব নিয়ে মার্কিনিদের মধ্যে কৌতুহলের অন্ত নেই। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েই অভিবাসন নীতি এবং নাগরিকত্ব নিয়ে একাধিক নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঊষা ভান্সের মার্কিন নাগরিকত্ব কি তাহলে খারিজ হয়ে গেল? (আরও পড়ুন: ইজরায়েলে হামাসের হামলায় 'ক্ষতি' হয়েছে আমাদের, বিস্ফোরক ইরা💟নের শীর্ষস্থাﷺনীয় নেতা)
আরও পড়ুন: সেক্স🏅ে 'হ্যাঁ' মানে কি গোপন মুহূর্তের ভিডিয়ো করারও সম্মতি? কি বলল হাই কোর্ট?
উল্লেখ্য, '১ নং, অবজারভেটরি সার্কেলের' প্রথম হিন্দু বাসিন্দা হলেন ঊষা ভান্স। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন জেডি ভান্সকে। এদিকে নিজের রাজনৈতিক উত্থানের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রীর অবদান প্রথম থেকেই স্বীকার করে এসেছেন জেডি ভান্স। (আরও পড়ুন: নাক কাটল পাকিস্তানের, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পর্দা ফাঁস করে রিপোর্ট 'বন্ধু' তাল꧅িবানের)
ঊষা চিলুকুড়ি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি করেছেন। ঊষা চিলুকুড়ি ভান্স ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও প্রযুক্তি জার্নালের ম্য়ানেজিং এডিটর এবং ইয়েল ল জার্নালের এক্সিকিউটিভ ডেভলপমেন্ট এডিটর হিসাবে কাজ করেছেন। এদিকে তিনি কেম🔜ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১৪ সালে কেন্টাকিতে জেডির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঊষার। এদিকে শুরুতে ২০১৪ পর্যন্ত ঊষা রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট ছিলেন। পরে ২০২২ সালে ত꧋িনি রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান হন। এদিকে স্ত্রীর হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন বলে মনে করেন জেডি ভান্স। দীর্ঘদিন আইনি বিভাগে কাজ করেছেন ঊষা। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জন রবার্টস এবং বিচারপতি ব্রেট কেভানার অধীনেও কাজ করেছেন ঊষা।
অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত ঊষার আদি গ্রামের নাম ভাদলুরু। জানা যায়, ঊষা ভান্সের বাবা কৃষ চিলুকুড়ি রাধাকৃষ্ণান চেন্নাইতেই বড় হয়েছিলেন, পরে তিনি আমেরিকায় চলে যান পড়াশোনার জন্য। যদিও পরবর্তীকালে ঊষা ভান্স কখনওই ভারতের সেই গ্রামে যাননি, তবে তাঁর বাবা কয়েক বছর আগে একবার গিয়েছিলেন সেখানে। ঊষার বাবা একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার এবং মা লক্ষ্মী একজন বায়োল💜জিস্ট। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে আছেন। তাঁরা দু'জনেই মার্কিন নাগরিক। এই আবহে তাঁদের সন্তান ঊষাও মার্কিন নাগরিক। তাঁর এই নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।