ফ্লিপকার্টে বিগ দিওয়ালি সেল শেষ হয়েছে। আর তাতেই সাধের গেমিং ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। এদিকে বাড়িতে আসা বাক্স খুলতেই তার চক্ষু চড়কগাছ। ল্যাপটপের বদলে কিছু টুকটাক তার আর একটি পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকের অভিযোগ পাওয়ার পর অবশ্য ফ্লিপকার্ট সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিয়েছে।চিন্ময় রামানা নামের ওই গ্রাহকের দাবি, তিনি তাঁর বন্ধুর জন্য গত ১৫ অক্টোবর Asus TUF গেমিং F15 গেমিং ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন। দাম প্রায় ৫১ হাজার টাকা। তাঁর Flipkart Plus সাবস্ক্রিপশনও রয়েছে। গত ২০ অক্টোবর একটি সিল করা বাক্সে অর্ডার এসে পৌঁছোয়। এদিকে বাক্সটি খুলতে তার ভিতর থেকে গেমিং ল্যাপটপের পরিবর্তে পাথর ও আবর্জনা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি।ওপেন বক্স ডেলিভারিএকের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আর সেই কারণেই ই-কমার্স সাইটগুলি 'ওপেন বক্স ডেলিভারি'-র মতো সুবিধা দিচ্ছে। ফ্লিপকার্ট সম্প্রতি একটি 'ওপেন বক্স ডেলিভারি' সিস্টেম চালু করেছে। এতে আপনার কাছে দামি কোনও ডিভাইস পৌঁছনোর পর, ডেলিভারি এজেন্টের সামনেই তা আপনাকে আনবক্স করে দেখার অপশন দেওয়া হবে। ডেলিভারি এজেন্টও দেখে নেবেন যে সঠিক জিনিস এসেছে কিনা। এরপর ডেলিভারি এজেন্টের কাছে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দেওয়া হবে। তিনি সেটি কনফার্ম করবেন।দেড়-দুই হাজারের স্মার্টওয়াচ থেকে শুরু করে দামি স্মার্টফোন- সবক্ষেত্রেই এই অপশন দিতে শুরু করেছে ফ্লিপকার্ট। পেমেন্ট করার সময়েই এই অপশন সিলেক্ট করতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ ডেলিভারি পিরিয়ড একটু বেশি লাগে।এমনিতেও এর আগে আইফোনের মতো দামি প্রোডাক্টে ডেলিভারি পার্সনের সামনেই আনবক্সিং করতে হত।উপরের ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও এমন ওপেন বক্স ডেলিভারির অপশনই আসেনি।অভিযোগকারী ব্যক্তি বাক্সে পাথরটি খুঁজে পাওয়ার পরেই অবিলম্বে সেলারকে সেই বিষয়ে অবহিত করেন। টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধও জানান। কিন্তু সেলার সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করে। তারা জানায়, তাদের পাঠানোর সময়ে বাক্সে ল্যাপটপটি ছিল। ফলে সেই টাকা কোনওভাবেই ফেরত দেওয়া যাবে না।Flipkart পরে রিফান্ড করেছেচিন্ময় বলেন, 'আমি সেই দিনই ফ্লিপকার্টকে সমস্ত প্রমাণ সহ এই সম্পর্কে জানিয়েছিলাম। তখন তারা বলেছিল যে এর সমাধানের জন্য তাদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। ২৩ অক্টোবর আমাকে ইমেল করে জানানো হয় যে, সেলার রিফান্ডের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ডেলিভারির সময়েও ল্যাপটপের কোনও ক্ষতি হয়নি।' এরপরেই তিনি দাবি করেন যে বাক্সের বারকোড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর সমস্ত তথ্যাদি-যুক্ত স্টিকারগুলি তুলে ফেলা হয়েছে।অভিযোগকারী এই বিষয়ে টুইটও করেন। এরপর তা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরেই Flipkart ক্রেতাকে ক্ষতিপূরণ দেয়। সোমবার অভিযোগকারী টুইটারের মাধ্যমে জানান, তিনি সেলারের থেকে পুরো টাকাটাই ফেরত পেয়েছেন।