অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি উন্মোচিত করতে বিদেশে গিয়েছিল ভারতীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দল। তার মাঝেই ভারতীয় সাংসদদের মালয়েশিয়া সফর ভেস্তে দিতে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তানি দূতাবাস। সূত্রের খবর, পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের কর্মসূচি বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। প্রতিনিধিদলের সমস্ত কর্মসূচি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়েছে। সফলভাবে মালয়েশিয়ায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের প্রতি প্রেম ও অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা প্রচার করা হয়েছে।যা ইসলামাবাদের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-‘জঘন্য কাজ!'ফের মাস্কের নিশানায় 'বন্ধু' ট্রাম্প, পাল্টা হোয়াইট হাউসও
জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা-র নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় যায় ভারতীয় প্রতিনিধি দল।তার আগেই ইসলামি সংহতির কথা জানিয়ে পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার কাছে ভারতীয় এই প্রতিনিধিদলের কর্মসূচি বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেছিল।পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের বলে, আমরা একটি ইসলামিক দেশ, আপনারাও একটি ইসলামিক দেশ... ভারতীয় প্রতিনিধিদলের কথা শুনবেন না, মালয়েশিয়ায় তাদের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুয়ালালামপুর ইসলামাবাদের এই হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে দেয়। ভারতীয় প্রতিনিধিদের সমর্থন করেছে মালয়শিয়া। সূত্রের খবর, যে সকল পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে প্রতিনিধিদল গিয়েছিল, তা সফল হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। এছাড়াও এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদন বড়ুয়া এবং হেমাঙ্গ জোশী, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের জন ব্রিটাস, কংগ্রেসের সলমন খুরশিদ এবং প্রাক্তন কূটনীতিক মোহন কুমার। মালয়েশিয়া ছাড়াও সঞ্জয় ঝা-এর নেতৃত্বাধীন এই দলটি ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুর সফর করেছে। ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা এবং পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, ভারতের প্রত্যাঘাত, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সবটাই আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘জঘন্য কাজ!'ফের মাস্কের নিশানায় 'বন্ধু' ট্রাম্প, পাল্টা হোয়াইট হাউসও
সঞ্জয় ঝা-এর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল বুধবার দেশে ফিরেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফর সম্পন্ন। এই সফর থেকে চার-পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। প্রথমত, প্রতিনিধিদল একটি জোরালো বার্তা দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধ। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেছে এবং গণহত্যায় নিহতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। তৃতীয়ত, ভারত কেবল পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। চতুর্থত, জম্মু ও কাশ্মীরে বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার কাজ শুরু হয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।