কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে জোর কদমে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর। আর গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। কখনও স্মার্ট মিটারে বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে এই আশঙ্কায়, কখনও রিচার্জ ফুরিয়ে গেলে মাঝ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাবে এই ভয়ে স্মার্ট মিটার লাগাতে নারাজ অনেকে। কিন্তু এসবই গুজব বলে দাবি করলেন বিদ্যুৎ দফতরের বারাসত ডিভিশনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বাপ্পাদিত্য ঘোষ। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন তিনি।
বাপ্পাদিত্যবাবু জানিয়েছেন, স্মার্ট মিটার নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যার সঙ্গে বাস্তবের যোগ নেই। স্মার্ট মিটারে বিদ্যুতের বিল বেশি আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বর্তমান দরেই স্মার্ট মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। শুধমাত্র আগে যেখানে ৩ মাসের বিল একসঙ্গে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছত, সেখানে এখন প্রতি মাসে গ্রাহকরা অনলাইনে বা অ্যাপে স্টেটমেন্ট পাবেন। তিন মাসের হিসাবকে তিন দিয়ে ভাগ করলেই এক মাসের হিসাব মিলে যাবে।
কিন্তু সত্যিই কি রিচার্জ ফুরিয়ে গেলে মাঝরাতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ? বাপ্পাদিত্যবাবু বলেন, ‘মাঝরাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। রিচার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও ৩০০ টাকা পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন সমস্ত গ্রাহক। তার পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। তবে বকেয়া ৩০০ টাকা পার হয়ে গেলেও শনিবার, রবিবার বা কোনও ছুটির দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। বিকেল ৫টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও লাইন কাটা হবে না। শুধুমাত্র অফিস টাইমে লাইন কাটা হবে। আপনি যেই বুঝতে পারবেন যে বকেয়ার জন্য লাইন কাটা হয়েছে। আপনি অনলাইনে হোক লাইন অফিসে গিয়ে হোক, বকেয়া মিটিয়ে দিলেই সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে অটোমেটিক আপনার বাড়িতে বিদ্যুৎ ফিরে আসবে। এখন আর কেউ গিয়ে লাইন জুড়বে সেসব কোনও ব্যাপার নেই।’