ফের শহরে মরণোত্তর অঙ্গদান। এক যুবকের অঙ্গে নতুন জীবন ফিরে পেলেন চারজন। এছাড়াও, দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে 🍃চলেছে দুজনের। ট্রাক দুর্ঘটনার পর বছর পঁচিশꦫের যুবক জয়েশ লক্ষ্মীশঙ্কর জয়সওয়ালের ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই তাঁর পরিবারের সদস্যদের মরণোত্তর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন। ৬ জনের শরীরে জয়েশের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: সঙ্কট এখনও কাটেনি, ভেন্টিলেশনে আছেন এসএসকেএমে যৌথ অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হওয়া 🐓তরুণ
বুধবার জয়সওয়ালের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চারজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জয়সওয়াল। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁর ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন। তাঁর ফুসফুস, লিভার এবং একটি কিডনি ওই হাসপাতালে দান করা হয় এবং অন্য কিডনি দান করা হয় পিজি হাসপাতালে। জয়েশের কর্নিয়া দান🥀 করা হয়েছে দিশা চক্ষু হাসপাতালে। হাসপতাল 𒆙সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ মে রাতে জয়সওয়াল কাশীপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় একটি ট্রাক তাঁকে পিষে দেয়। প্রথমে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁর পরিবার তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাতের কারণে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। মস্তিষ্কের আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সন্তানকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান থাকা সত্ত্বেও তাঁর অভিভাবকরা একাধিক জীবন বাঁচাতে জয়েশের অঙ্গদানের মহৎ উদ্যোগে সম্মত হন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়🅰েছে, জিমে উৎসাহী ছিলেন জয়েশ। শরীরের ফিটনেস নিয়ে বরাবরই সচেতন ছিলেন। ভ্রমণপিপাসু ছিলেন। তিনি মুম্বইয়ে থাকতেন। প্রায় এক বছর আগে বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এছাড়াও, কয়েকটি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জয়েশ। তাঁর পরিবারের এক সদস্যদের কথায়, ‘আমরা তাঁকে হারালেও এখন জয়েশ অন্যদের মধ্যে বেঁচে থাকবে।’ এদিকে, যুবকের পরিবার আরজি কর হাসপতালের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল রেকর্ড নথিভুক্ত করতে অনেক সময় নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। জানা গিয়েছে, জয়েশের হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্য কলকাতার কোনও হাসপাতালেই গ্রহীতা পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার তাঁর ফুসফুস, লিভার, দুটি কিডনি এবং দুটি কর্নিয়া সংরক্ষণ করা হয়। জানা গিয়েছে, ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয় ২২ বছর বয়সি মৎস্য বিজ্ঞানের একজন ছাত্রের শরীরে।লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের দেহে। একটি কিডনি ৩৬ বছরের মহিলার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্য কিডনিটি ৪৭ বছরের এক মহিলার দেহে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই মহিলার দু’টি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়।