দেখতে দেখতে বছর পার। গত বছর এই দিনে ঘটেছিল বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বড়শাল গ্রামের উপপ্রধান খুন হওয়ার পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই আগুনে মারা যান ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নব বিবাহিত দম্পতি কাজি সাহিদুল রহমান ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বিবি। ঘটনার দিন স্ত্রীকে নিয়ে বগটুইতে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।
সেই ঘটনার পর বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার ও আহতদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরিরও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মৃত সাহিদুলের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলের মৃত্যুর টাকা এবং চাকরি পেলেও বৌমার মৃত্যুর কোনও টাকা তাঁরা পাননি। এমন কি বৌমা মর্জিনরা বাড়ির কেউ কোনও চাকরিও পাননি।
সাহিদুলের মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছেলে ও বৌমার মৃত্যুর কোনও শংসাপত্র তাঁরা সরকারের কাছ থেকে পাননি। ফলে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারেছেন না। জেলাশাসককে একধিকবার লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন, কিন্তু আশ্বাস ছাড়া আরও কিছুই পান নি। ফলে ছেলে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা এলেও তা তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারছেন না।