বাংলার বাড়ি নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ উঠতে না পারে তার জন্য আগে থেকে সমীক্ষা করা হয়েছিল। আর কোনও অনিয়ম যে রেয়াত করা হবে না সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে যে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে সে কথা জানিয়ে ছিলেন প্রশাসনিক প্রধান। যদি কেউ উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা চায়, বাড়ি তৈরি করতে গেলে কোনও সমস্যা করলে তাদের বিরুদ্ধে একেবারে এফআইআর দায়ের করতে হবে। আর কড়া আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে। এౠই আবহেই বাংলার বাড়ির উপভোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে নয়া টোল–ফ্রি নম্বর চালু করল নবান্ন।
ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে ঢুকে গিয়েছে। বাংলার বাড়ি গড়ে তুলতে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরে দ্বিতীয় কিস্তির 🍸টাকা দেওয়া হবে। আবার ২০২৫ সালে বাকি ১৬ লক্ষ গরিব মান⭕ুষকেও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় কিস্তি ডিসেম্বর মাসে। এখন যাঁরা টাকা পেয়েছেন তাঁরা বাড়ির কাজ শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখা দিলে নয়া টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে তা জানাতে পারবেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই ১৮০০ ৮৮৯৯ ৪৫১ নম্বরে ফোন করা যাবে বাংলার বাড়ি নিয়ে। এমনকী অভিযোগ সরাসরি রাজ্য সরকারকে জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: বালুরঘাটে আত্মগোপন করে থাকা বাংলাদেশের নাগরিক পুলিশের জালে, আশ্রয়দাতাও গ্রেফতার
বাংলার বাড়ি গ্রামে গড়ে তুলতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ হলে তবেই মিলবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। বাড়ি ন্যূনতম কত আয়তনের হবে সেটা নিয়ে কেউ জানতে চাইলে ফোন করতে পারবেন। কেউ বাড়ি তৈরির কাজে বাধা দিলে লোকাল থানায় অভিযোগ জানানো এবং সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছেও জানাতে পারবেন। তাই টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হচ্ছে। এমনকী অন্যান্য কোনও সহায়তা প্রয়োজন হলেও পাশে দাঁড়াবে রাজꦜ্য সরকার।
দুটি নম্বর চালু করা হচ্ছে। একটি নম্বর হল—১৮০০ ৮৮৯৯ ৪৫১। দ্বিতীয় নম্বর হচ্ছে ইমারজেন্সি হেল্পলাইন—১১২। বিধাননগরে পঞ্চায়েত দফতরের মৃত্তিকা ভবনে এই টোল ফ্রি নম্বরের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখন ১২টি ফোন বসানো হচ্ছে। পরে সংখ্যা বাড়ানো হবে। সেই সংখ্যা বেড়ে ৩০ পর্যন্ত হতে পারে। আবার এই টোল ফ্রি নম্বর থেকে উপভোক্তাদের ফোন করে জানা হ🍎বে সব ঠিক চলছে কিনা। বাড়ি নির্মাণের কাজ কতটা এগোচ্ছে বা কোনও সমস্যা আছে কিনা সেসব জানতে চা♈ওয়া হবে উপভোক্তাদের থেকে। অভিযোগ জানাতে পাবলিক গ্রিভান্স পোর্টাল এবং অ্যাপ চালু করেছে পঞ্চায়েত দফতর।