অত্যন্ত মর্মান𝓡্তিক ঘটনা। প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল টিঙ্কুর প্রসাদ ও রিম্পা প্রসাদের। বেশ ভালো করেই চলছিল সংসার✱। কিন্তু আচমকাই যেন সব কেমন তাল কেটে গেল। হাওড়ার বাগনানের কানাইপুরে তাদের সুখের সংসার। পেশায় ইলেকট্রিসিয়ান ছিলেন টিঙ্কু।সোমবার রাতে কোলাঘাট থেকে ফেরার পথে বাগনানের দেউলটির কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তিনি।
এরপর বাগনান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল টিঙ্কুকে। সেখানেই মৃত্যু হয় টিঙ্কুর। এদিকে স্বামী দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এই খবর পাওয়ার পরেই হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন রিম্পা। এরপর হাসপাতালে এসে তিনি জানতে পারেন যে মারা গিয়েছেন স্বামী।
এরপর কান্না। হাꦐসপাতাল থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যান তিনি। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত। উলুবেড়িয়ার ডোমপাড়া এলাকায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টিঙ্কুর মা বলেন, ছেলের বাইক দুর্ঘটনা হয়েছিল। সকালে জানতে পারলাম ছেলে আর নেই। বৌমা রান্না করল। বলল বাগনানে আছে ছেলে আসছে। তারপর শুনলাম ছেলের দুর্ঘটনা হয়েছে। বৌমা বলল আমি যাচ্ছি। তারপর আমি বুঝতে পারিনি বৌমাও এমন কাণ্ড করে ফেলেছে। ছেলে মারা গিয়েছে, বৌমা মারা গিয়েছে সেটাও আমি জানতে পারিনি। আমাকে জানাতে পারেনি। কারণ আমি এই শোক নিতে পারব না। ওদের ভালোবাসা করে বিয়ে হয়েছিল। ওদের মধ্য়ে অত্যন্ত মিল ছিল। স্বামীর মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরඣে বৌমাও চলে গেল। স্বামী মারা গিয়েছে শুনেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিল।
অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। স্বামী খাবে বলে রান্না করেছিলেন স্ত্রী।ไ কথা ছিল স্বামী ফিরে এলে একসঙ্গে বসে♎ খাওয়া দাওয়া করবেন। কিন্তু সেটা আর হল না। শেষ আশা পূরণ হল না। এরপর স্বামীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন স্ত্রী।
ꦛএই ঘটনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুই পরিবারের লোকজন। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ দুটি দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কীভাবে টিঙ্কু প্রসাদের দুর্ঘটনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইꦫ সঙ্গে রিঙ্কুর মৃত্যুর ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্থানীয়রাও। অত্য়ন্ত ভালোবাসতেন দুজনে দুজনকে। স্বামীর মৃত্যু মানতে পারলেন না স্ত্রী। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা।