হাতি আর মানুষের সংঘাত যেন বেড়েই চলেছে উত্তরবঙ্গে। বার বার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতির দল। নষ্ট করছে জমির ফসল, প্রাণহানিও ঘটছে। তবে এবার হাতি কিংবা বাইসন এলাকায় ঢুকলেই আগাম জেনে যাবেন বাসিন্দারা। এরপর তাঁরা সতর্ক হয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তারই নিরিখে চালু হল আর্লি ওয়ার্নিং অ্য়ালার্ম সিস্টেম। স্ন্যাপ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের বড়দিঘি চা বাগান ও ধূপঝোড়া বিট এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। WWF ও গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগও এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছে। এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে আর্লি ওয়ার্নিং অ্যালার্ম সিস্টেম। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনও হাতি বা অন্য় বন্যপ্রাণী এলাকার কাছাকাছি এলেই বেজে উঠবে অ্য়ালার্ম, জ্বলে উঠবে আলো। ধূপঝোরায় প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় ও বড়দিঘি চা বাগানের প্রায় ১ কিমি এলাকা জুড়ে এই অ্যালার্ম সিস্টেম চালু করা হচ্ছে।
কিন্তু ঠিক কীভাবে কাজ করবে এই ব্য়বস্থা? জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় স্থিতিস্থাপকতা রয়েছে এমন স্প্রিং জাতীয় লোহার খুঁটির সঙ্গে দড়ি লাগানো থাকবে। হাতি বা অন্য কোনও প্রাণী ওই পথে লোকালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে দড়িতে চাপ পড়তে পারে। তবে স্প্রিং জাতীয় হওয়ার জন্য কোনওভাবেই জন্তুর পায়ের চাপেও ভাঙবে না। সেই দড়ির সঙ্গে সেন্সর লাগানো থাকবে। সেন্সরে চাপ পড়লেই সাইরেন বেজে উঠবে। তার সঙ্গেই জ্বলে উঠবে নির্দিষ্ট আলো। তবে গোটা প্রকল্পে বিদ্যুতের ব্যবহার হবে না। সবটাই চলবে সৌর শক্তিতে।