আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল এক্স হ্যান্ডেলে কিছু বক্তব্য পোস্ট করেছেন। আলিপুরদুয়ার সফরে কয়েক ঘণ্টা পর বক্তব্য রাখবেন মোদী। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ভোটপাখি বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াই আগে না আপনাদের এই সস্তা রাজনীতি আগে?
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পোস্ট করা হয়েছে, যে দলের সাধারণ সম্পাদক বিদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিচ্ছেন আর আপনি সেই দলের সরকারের বিরুদ্ধে, সেই রাজ্যে এসে কুৎসা করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অবস্থান ঠিক করে দিয়েছেন, এখন দলের সবাই দেশের পাশে, তখন এই সস্তা রাজনীতি, নরেন্দ্র মোদী আপনারা চান কী? যখন তৃণমূল কংগ্রেস এক দেশভক্ত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছে তখন আপনি আসছেন সেই রাজ্যে রাজনীতি করতে? আর কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘দুটি প্রশ্ন দুটি দাবি রাখতে চাই। প্রশ্ন এক, যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্য সরকার পুরোপুরি দেশের স্বার্থে ঐক্য ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকছে, যখন দেশের স্বার্থে দেশের বার্তা দিতে বিশ্বের নানা দেশে পাকিস্তানকে আক্রমণ করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তখন পশ্চিমবঙ্গে এরকম অনুষ্ঠান কেন?’
আরও পড়ুন: একমাসে কত পর্যটক এসেছেন দিঘায়? রথের আগেই জগন্নাথ মন্দির দেখতে মানুষের ভিড়
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তুলে তোপ দাগা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে। আপনি কেন কাশ্মীর যাননি, আপনি কেন মণিপুর যাননি? এখন সৌজন্য রেখে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেক কথাই বলা হচ্ছে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা অনেক আক্রমণ করা যেতে পারে কিন্তু সৌজন্যবশত তা হচ্ছে না। এই ভাষাতেই আক্রমণ শানানো হয়েছে। আর কুণাল ঘোষের দ্বিতীয় প্রশ্ন ও বক্তব্য, ‘আপনি আসছেন যখন খালি হাতে আসছেন কেন, কেন বাংলার বকেয়া টাকা দিচ্ছেন না, মনরেগার টাকা দেননি? একশো দিনের টাকা দিন, বাংলার বাড়ির টাকা দিন, আপনারা বাংলার মানুষকে কাজ করিয়ে টাকা দেননি, সেই টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার দিয়েছে। রাজ্যের ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে। আপনারা টাকা দিচ্ছেন না আর এখন আসছেন রাজনীতি করতে! রাজ্যে উন্নয়নের সরকার চলছে। তৃতীয়বারের সরকার চতুর্থবারও আসবে মা–মাটি– মানুষের সরকার।’
এছাড়া দুটি দাবি রেখেছেন কুণাল ঘোষ। এই দাবিগুলি সরকারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে। কুণাল ঘোষ দুটি দাবি তুলে বলেছেন, ‘দাবি এক, অপরেশন সিঁদুর নিয়ে কোনও সংকীর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবেন না। সেনাবাহিনীর লড়াইকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ফায়দা তোলার জন্য রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করবেন না। দাবি দুই, বাংলার বকেয়া বাংলাকে দিন। বাংলা থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে যাবেন বাংলার বকেয়া দেবেন না? মুখের কথা নয় শব্দের জাগলারি নয়। দেশের প্রশ্ন একতা না সস্তার রাজনীতি কোনটা চান প্রধানমন্ত্রী? বিশেষ অধিবেশন ডাকুন।সবার জানার অধিকার আছে। উত্তরবঙ্গে যে উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল করেছে। বাম নেতারাই পাহাড়ে উঠতে পারতেন না। এখন পর্যটক উপচে পড়ছে। রেলমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গকে যে ট্রেন দিয়েছেন কষ্মীনকালে কেউ করেনি।’