দুই বাংলার সীমান্ত এলাকায় এমন ঘটনা আগে দেখা যায়নি। চোরাচালানের এই নতুন পদ্ধতিতে অবাক বিএসএফ জওয়ানরা। স্বরূপনগরের আমুদিয়া এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বনগাঁ, বাগদা এবং স্বরূপনগরের সীমান্ত এলাকা সোনা পাচারকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্য। আগে বহুবার সোনা পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছেন জওয়ানরা।
উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট
চোরাই সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল বসিরহাটের এক যুবক। তবে সহজে তাকে ধরা যায়নি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই উদ্ধার হয়েছে এই এক কেজি চোরাই সোনা। বিএসএফ জওয়ানদের চোখে ধুলো দিয়ে সে প্রায় বেঁচেই গিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে তাকে ধরে ফেলল আধুনিক প্রযুক্তি। তবে এই যুবককে প্রমাণ–সহ ধরতে অনেক পরিশ্রম করতে হল জওয়ানদের।
ঠিক কী ঘটেছে বসিরহাটে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মলদ্বারে লুকনো ছিল আটটি সোনার বিস্কুট! ওই ছিদ্র দিয়ে পেটে সোনা ভরে পাচার করছিল যুবক। বসিরহাটের স্বরূপনগরের বাসিন্দা ওই যুবককে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ জওয়ানদের। কিন্তু শরীর তল্লাশি করে কিছু মেলেনি। ওই যুবক পাচারকারী ভেবেছিল সে বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু তার হাঁটা দেখে সন্দেহ হতেই শরীরে মেটাল ডিটেক্টর ঠেকানো হয়। আর তাতেই ‘বিপ বিপ’ শব্দ ভেসে আসে। আর তাতেই কাল হল পাচারকারী যুবকের। তখনই নিয়ে যাওয়া হয় সরকারি হাসপাতালে। সেখানে পেটের এক্স–রে করতেই আটটি ধাতব পাতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।