পেট্রাপোল সীমান্ত। এই স্থলবন্দর দিয়েই রোজ বহু মানুষ এক দেশ থেকে অপর দেশে যাতায়াত করেন। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমান হিংসার জেরে সব কিছু কেমন যেন ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এপারে আসা লোকজনের সংখ্য়া যেমন কমেছে, তেমনি এপার থেকে বাংলাদেশে আসা লোকজনের সংখ্য়াও মঙ্গলবার আচমকাই কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এসেছিলেন এক ব্যবসায়ী। সময়ের আগেই ফিরে যাচ্ছেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই অশান্তি চলছে। আমরা দেখছি কেউ ক্ষমতা নিতে পারছে না। আমরা চাই হাসিনা ফের ফিরে আসুন। তিনিই সবথেকে ভালো। আর কেউ নেই হস্তক্ষেপ করার। দেশে যেমন রাহাজানি, অন্যায় অবিচার শুরু হয়েছে গত পাঁচ মাস ধরে এটা শেখ হাসিনা ম্যাডাম ছাড়া আর কেউ হ্যান্ডেল করতে পারবে না। বিস্ফোরক ওই ব্যবসায়ী।
তাঁর দাবি, শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন পরিস্থিতি এমন ছিল না। তিনি বার বার বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে আসুন। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তিনি সবিস্তারে জানিয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়। বছরে বেশ কয়েকবার তিনি ভারতে আসেন। তবে তাঁর মতে গত কয়েকমাস ধরে পরিস্থিতি পুরো বিগড়ে গিয়েছে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশ তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁর মতোই একাধিক ব্যবসায়ী।
আমরা চাই শেখ হাসিনা ম্যাডাম যেন ফিরে আসেন। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশি লোকজনের কারণে। দেশে ফিরতে কিছুটা ভয় লাগছে। বাংলাদেশের কাস্টমসের অবস্থা ভালো নয়। সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। গত চার মাস ধরে এটা সবসময় মনে হচ্ছে। এত বেশি চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, অন্যায় অবিচার হচ্ছে যে এত বেশি ভরে গিয়েছে ঢাকা শহরের মধ্যে খুবই ভয় লাগে। এপারের সীমান্তে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক ওই ব্যবসায়ী।
পেট্রোপাল জিরো পয়েন্ট। ভারতে যারা এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য় তাঁদের অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন বাংলাদেশে। পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ার জেরে চিকিৎসা অর্ধেক করিয়েই ফিরে যাচ্ছেন কয়েকজন। চোখে মুখে আতঙ্ক। আবার কবে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসতে পারবেন সেটাও তাঁরা বুঝতে পারছেন না। সব মিলিয়ে একটা অদ্ভূত অনিশ্চয়তা তাঁদের ঘিরে ধরছে।
এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, জানেন যে ডালে বসে রয়েছি সেই ডালই কাটা হচ্ছে বাংলাদেশে। তার ফলে যা হওয়ার সেটাই হবে। আগামী দিনে কী হবে সেটাই বুঝতে পারছি না।