গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জেঠিয়ায় বৃদ্ধাকে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। ৪ দিনের মধ্যে সেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় বৃদ্ধার জামাই আখের আলি মল্লিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা বৃদ্ধার জামাইয়ের বাড়ি যেতেই পৌষ্য ছাগলের সঙ্গে আখেরকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখেন। তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের কথা স্বীকার করে নেয় পুলিশ। আর তারপরই গ্রেফতার। বিধবা ভাতার টাকা হাতাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: শাস্তির খাঁড়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি, জানুয়ারির শেষে বড় আন্দোলন জুনিয়র ডাক্তারদের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার নাম ফুলজান বিবি (৭৯)। তিনি জেঠিয়া থানার পাল্লাদহ শিমুলতলার বাসিন্দা। গত ২৪ জানুয়ারি ফুলজান বিবির গলা কাটা মৃতদেহ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়। কার্যত রক্তে মেঝে ভেসে যাচ্ছিল। এরপর তার মেয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু, সেই পথেই ফুলজান বিবির মৃত্যু হয়। পরে ফুলজানের মেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পরিবারের সদস্যদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এরপর পুলিশ বৃদ্ধার ছোটো জামাই আখের আলি মল্লিককে রবিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে।
সোমবার জেঠিয়া থানায় ডিসি (নর্থ) গনেশ বিশ্বাস সাংবাদিক সন্মেলন করে জানান, বৃদ্ধা বিধবা ভাতার এককালীন ১০ হাজার টাকা তুলেছিলেন কিছুদিন আগেই। সেটা তাঁর ছোট জামাই জানত। যদিও সেই টাকা বৃদ্ধা কোনও প্রতিবেশির কাছে রেখেছিলেন। তবে বৃদ্ধার কাছে সেই টাকা চায় আখের। এনিয়ে ঘটনার রাতে জামাইয়ের সঙ্গে বৃদ্ধার তুমুল বচসা বাঁধে। তারপরই খুন। পুলিশের দাবি, আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সে তার শাশুড়িকে খুন করে।
জানা গিয়েছে, পুলিশ ফুলজানের ছোট মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। তখন বাড়িতে পোষ্য ছাগলকে খেতে দিচ্ছিল আখের আলি। তবে তার আচরণ দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, আখের তার শাশাশুড়িকে খুন করার জন্য ফল কাটার ছুরি ব্যবহার করেছিল। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই খুনের পিছনে আরও কোনও কারণ রয়েছে বা অন্য কারও মদত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।