চলন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি! ঘুমিয়ে থাকার সময় সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনায় ফের মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রেল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা চিকিৎসক। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেখভালের নামে ৮০-র বৃদ্ধাকে 'যৌন নির্যাতন', মৃত্যু, গ্রেফতার আলিপুরদুয়ারের যুবক
অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি গত সোমবারের। পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপিকা চিকিৎসক হাওড়া- চক্রধরপুর এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাস কোচে পুরুলিয়ায় যাচ্ছিলেন। সেই কোচেই যাচ্ছিলেন সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন পাল। অভিযোগ, ভোরের দিকে যখন চিকিৎসক ঘুমিয়ে ছিলেন সেই সময় তাঁর শ্লীলতাহানির এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই অধ্যাপক। চিকিৎসকের অভিযোগ, ফার্স্ট ক্লাস কোচে এই ঘটনা ঘটে। ভোরের দিকে ঘুমিয়ে থাকার সময় অধ্যাপক তাঁর শরীরে হাত দেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি অন্যান্য সহযাত্রীদের জানান। তবে ছোটাছুটি করেও কোচের মধ্যে কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে দেখতে পাননি। পরে মঙ্গলবার তিনি জিআরপির কাছে অভিযোগ জানান।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে বুধবার মেডিক্যাল কলেজের পঠন পাঠন বন্ধ রাখেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা । তাঁরা অভিযুক্ত অধ্যাপকের গ্রেফতারের দাবি জানান। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান চিকিৎসক। যদিও এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি অধ্যাপক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি থানার পুলিশ।
এদিকে, তদন্তে সন্তুষ্ট নন চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জিআরপি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনওরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, অবিলম্বে অধ্যাপককে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি, তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। চিকিৎসক জানান, গত তিন বছর ধরে ট্রেনে যাতায়াতের সূত্রেই অধ্যাপকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তবে অধ্যাপক যে এরকম করবেন তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। অধ্যাপকের এরকম আচরণে তিনি রীতিমতো হতবাক হয়েছেন। একই সঙ্গে ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ট্রেনে রাজনৈতিক নেতা বা কোনও ভিআইপি গেলে যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সেরকম নিরাপত্তা নেই।