মুর্শিদাবাদ হিংসায় মারা গিয়েছেন তিনজন। তার মধ্য়ে অন্য়তম হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাস। বাবা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছি💮ল। এরপর ফের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা গেলেন তাঁদের বাড়িতে।
হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের বাড়িতে রবিবার গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। আর্থিক সহায়তার কথাও বলেছিলেন তাঁরা। তবে সংবাদমাধ꧒্যমের সামনে নিহতের পরিবার কার্যত জানিয়ে দিল, আমরা টাকা নেব না।
এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছে পরিবার। মৃ♒তের পরিবারের দাবি, কারো কোনও সাহায্য় নেব না। আমার স্বামী, শ্বশুরকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন এমপি মিথ্যে কথা বলছেন। এদিকে নিহত চন্দন দাসের দাদা বলেন, রাজনীতি এখন ওরা বলছে। যখন মারা গেল তখন ওরা এল না। আমাদের লোকজন টাকা নেবে না। ওই যে বলছে পরে নেবে এটা পুরো মিথ্যে কথা। এমপি এমএলএ মিথ্যে কথা বলছে। এখন স্বান্তনা দেওয়ার জন্য ওসব বলছে। মারা যাওয়ার দিন এসেছিল। আর এদিন এল। এমপি, এমএলএ এলেন। কী প্রতিশ্রুতি দি𒊎চ্ছেন বলছেন পরে টাকা নেবেন। আমার পরিবার কী বলছেন পরে টাকা নেব? বিএসএফ না থাকলে, রাষ্ট্রপতি শাসন না হলে কিছু হবে না। দিদি আমাদের ভাবতে বলেছে। আমরা ভাবছি। দিদি এলে আমরা ঝাড়খণ্ডে চলে যাব। দাবি পরিবারের।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের বলা আছে। ঠিক সময়ে নিয়ে নেবেন। শোকগ্রস্ত আছেন। আমরা পাশে থাকা বার্তা দিয়েছি। তিনজনের পড়ার দায়িত্ব নিলাম। প্রশাসন আছে। আশা করছি এমন ঘটনা আর ঘটনা হবে না। ধুলিয়ানে এই ধরনের হিন্দু মুসলিম প♔রিস্থিতি হয়নি। মনের মিলন সেটা অটুট আছে। কিছু দুষ্কৃতী এই কাজটা করেছে। তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্য়ে মনের মিলন অটুট রয়েছে।
মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ হিংসার ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারা এই হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা নিয়ে নানা সংশয় থেকে গিয়েছে এখনও। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ধরপাকড় করেছে। অনেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে এই হিংসারꦿ ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চলছে পুরোদমে। তবে 🍨সকলেরই একটাই প্রার্থনা আর যেন বাংলার কোথাও এই ধরনের হিংসার ঘটনা আর না হয়।