বর্ধমান দুর্গাপুরে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। প্রায় লক্ষাধিক ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এমনটাই খবর। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই জয়ের ব্যাপারে একরকম নিশ্চিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল জয়ী হয়েছেন কীর্তি আজাদ।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে তাঁকেই ১৮টি আসন জয়ের কারিগর হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল। পরে নানা কারণে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এবার আবার মেদিনীপুর আসন থেকে সরিয়ে তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। কার্যত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে অত সহজে হাল ছাড়েননি তিনি। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন কীর্তি আজাদ।
এদিকে এবারের ভোটে নানাভাবে বলা হচ্ছিল যে কীর্তি আজাগ বহিরাগত। তাঁকে মানতে পারছেন না তৃণমূলেরই একাংশ। কিন্তু বাস্তবটা ছিল একেবারে অন্য। অন্য আসন থেকে লড়তে নেমে বিরাট বিপাকে পড়লেন দিলীপ ঘোষ।
বরাবরই লড়াকু নেতা হিসাবে পরিচিত দিলীপ ঘোষ। লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে চলে যাওয়ার মানুষ তিনি নন। তবে ইদানিং দলের অন্দরেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পরাজিত হলেন তিনি।
প্রথম দিকে পোস্টাল ব্যালটে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এনিয়ে বেশ খুশি খুশি ছিলেন দিলীপ নিজেও। এমনকী ভোটের মাঝপথেও আত্মবিশ্বাস মনোভাবটা অন্তত সংবাদমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বেলা গড়াতেই বদলে যায় ছবিটা। বিকালে দেখা যায় পরাজিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের এই পরাজয়কে ঘিরে দলের অন্দরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই আসনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল যে পরাজিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের অন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তৃণমূলকে নিশানা করে যে সমস্ত নেতারা তোপ দাগেন তাদের মধ্য়ে অন্যতম হলেন দিলীপ ঘোষ। এমনকী তোপ দাগতে গিয়ে মাঝেমধ্য়ে তিনি লাগামছাড়া হয়ে যেতেন। সেকারণে দল তাঁকে বার বার সতর্কও করেছে অতীতে।
সূত্রের খবর ১ লাখ ২৫ হাজার ভোটে এগিয়ে যান কীর্তি আজাদ। সব মিলিয়ে শোচনীয় পরাজয় হল দিলীপ ঘোষের। তবে শুধু দিলীপ ঘোষ বলে নয়, বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতা এবার কুপোকাত হচ্ছেন বলে খবর।