গতকাল বিয়ে উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপহার পাঠিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষকে। আর আজ মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই তুলোধনা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ মর্নিংওয়াকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ জানান, ঘটনার দিন তিনি মালদায় গিয়েছিলেন। সেই সময় সেখান থেকে কলকাতা ফেরার পথে তাঁকে পুলিশ মাঝপথে আটকে দিয়েছিল। দিলীপ ঘোষ সেই সন্ধ্যায় বিএসএফ ডিআইজির সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলেও দাবি করেন। কোথায় কোথায় ঝামেলা হচ্ছে, তার তালিকা বিএসএফের আধিকারিকের কাছে পাঠিয়েছিলেন দিলীপ। (আরও পড়ুন: পাঠানে ক😼্ষܫুব্ধ তৃণমূলেরই MP-MLA, শেষবার কবে মুর্শিদাবাদে পা রেখেছিলেন ইউসুফ?)
আরও পড়ুন: 'যৌন নিপীড়নও হয়েছে', ঘরছাড়াদের মুখে ওয়াকফ হিংসার কথা শুনে বিস্ফোরক💜 NCW
এদিকে মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ আজ আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশে বিএসএফ নেমেছে। আমরা কোর্টে আবেদন করেছিলাম বিএসএফের। তারপরই অফিশিয়ালি বিএসএফ দিয়েছে (মোতায়েন হয়েছে)। এখন যদি বিএসএফ সব জায়গায় যায় তাহলে পুলিশ কি করতে আছে? বিএসএফ পুলিশের কাজ করবে, এলাকার জায়গায় জায়গায় বিএসএফ ক্যাম্প করতে হচ্ছে... তাহলে পুলিশ কি করছে, মমতা ব্যানার্জির সরকার কি করছে? তাহলে আমরা যেটা দাবি করেছিলাম ৩৫৫, ৩৫৬ - সেটাই লাগু করা হোক।' এদিকে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ১১ এপ্রিল তাঁকে রাত ৯টার পরে কলকাতার দিকে যেতে দেয় পুলিশ। তখন পরিস্থিতির কথা জানতে চাইলে পুলিশ জািয়েছিল, ঝামেলা থেমেছে কিন্তু পরিস্থিতি থমথমে। (আরও পড়ুন: 'মৌলবাদ নিয়ে ব্রেনওয়াশ'ꦚ, ধুলিয়ানে TMC সাংসদ-বিধায়কদের সামনেই বিস্ফোরক দাবি)
আরও পড়ুন: 'ওরা বাড়িতে ঢুকে...', রাজ্যপালকেꦚ বললেন মুর্শিদাবাদ হিংসার কবলে পড়া🍎 মহিলারা
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ। (আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াতে শেখানো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার 'পিছু হটলেন',💝 করলেন বড় মন্তব্য)
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে ছাড়াই গুরুত্ব🦄পূর্ণ বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি, কষ😼া হল কোন ছক?
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিস𓂃েও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।