একটু বেলায় বেরিয়ে আজ যাঁরা সরস্বতী পুজোর বাজার করবেন বলে ভেবেছেন তাঁদের একটু বাজারদর জেনে যাওয়া ভাল। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। অন্যদিকে শাক, সবজি, ফল, ফুল থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেল—সবকিছুর দামেই ছ্যাঁকা লাগছে। কারণ সরস্বতী পুজোর জন্য সেই বাজার আরও চড়া। আজ, শনিবার বাগদেবীর আরাধনা। গৃহস্থের ঘরে বাগদেবীর🐓 আরাধনার আয়োজন তুঙ্গে। কিন্তু বাজারদরের এই হালচাল দেখে অনেকেই আয়োজনে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, শিয়ালদহ, শ্যামবাজার, মানিকতলা–সহ নানা বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কম🌼েছে। আর এদিন প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে ৫০–৬০টাকা দরে। এক ডোজন কাঁঠালি কলার দাম পড়ছে ৬০ টাকা। শাঁকালু, আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, তরমুজ প্রতি কেজির দাম ছিল যথাক্রমে ৪০, ১৫০, ১২০, ৫০ এবং ৫০ টাকা। একটি আনারসের দাম ন🧜িয়েছে ৬০–৭০ টাকা। জামরুল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এক টুকরো আখের দামই ৮–১০টাকা। নারকেল কুল ৫০–৬০টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেবীর ঘটের ডাব বিক্রি হয়েছে ৩০–৩৫ টাকায়।
এন্যদিকে সরস্বতী পুজোয় বহু বাড়িতে ‘গোটা সিদ্ধ’ প্রথা পালিত হয়। আবার কোথাও কোথাও দেবীকে খিচুড়ি ভোগ নিবেদন করা হয়। তাই নানা সবজির দরকার পড়ে। সেসবের দামও বেশ চড়া। ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতিটির দাম ৩০ টাকা। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। টমেটো, কড়াইশুঁটি, কুমড়ো প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৪০, ৪০ এবং ৩০ টাকায়।𓃲 বাগদেবীর আরাধনায় প্রয়োজন পলাশফুল, খাগের কলম ও মাটির দোয়াত। এদিন ছোট একটি পলাশ ফুলের দাম ছিল ১০ টাকা। খাগের কলম ও দোয়াত বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। বড় সাইজের গাঁদা ফুলের একটি মালার দাম ছিল ৫০ টাকা। রজনীগন্ধার বড় মালা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়।
আজ সকালে বাজার করতে বেরিয়ে গৃহস্থরা বলেন, ‘ফল, ফুল, সবজির যা দাম, তাতে এবার নিয়মরক্ষার পুজোই করতে হবে। মানুষের পকেট ফাঁকা। তার উপর জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে তো পুজো করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে।’ তাই বাগদেবীর আরাধনা করতে গিয়েও পকেটে টান পড়ছে ﷺমধ্যবিত্ত বাঙালির। তবে বেজেছে বাড়িতে বাড়িতে শাঁখ।