শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই তাঁর ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। হাসপাতালে শুয়ে এই দাবি করলেন শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রবিক্ষোভের সময় মন্ত্রীর গাড়িতে চাপা পড়া ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। সোমবার তাঁর চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে বাঁ চোখে তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই অতি বাম নেতা।
আরও পড়ুন - ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় 'চাপা পড়া' ইন্দ্রানুজের নামে ৩ FIR, অভিযোগ কী কী?
পড়তে থাকুন - 'হিন্দু ধর্মকে শেষ করতে পারবেন না,' ঔরঙ্গজেবের কথা টেনে মমতাকে আক্রমণ হিমন্তের
শনিবার যাদবপুরে ছাত্র বিক্ষোভের সময় ইংরাজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের ওপর দিয়ে চলে যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি। সেই ঘটনায় পালটা ইন্দ্রানুজের বিরুদ্ধেই ৩টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অতিবাম সংগঠনের সদস্য ইন্দ্রানুজের চোখের পাশে ১৪টি সেলাই পড়েছে। সোমবার চোখের ব্যান্ডেজ খুলেছেন চিকিৎসকরা। তবে সেলাই এখনও রয়েছে। বাঁ চোখে এখনও ভালো দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। সেই অবস্থাতেই হাসপাতালে শুয়ে ইন্দ্রানুজ সোমবার বলেন, যারা বলছে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আমার ওপর দিয়ে যায়নি তারা কী প্রমাণ করতে চাইছে তা স্পষ্ট। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর গাড়ি আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা খুনের চেষ্টার সমান।'
আরও পড়ুন - ‘খুব ভালো অনুভূতি হয়েছে কুম্ভে,’ খোলাখুলি আর কী জানালেন তৃণমূলের 'সনাতনী' সুজাতা
ইন্দ্রানুজ বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রী তাতে রাজিও হয়েছিলেন। তখনই তৃণমূলের কয়েকজন শিক্ষামন্ত্রীকে গাড়িতে তুলে দিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চলতে শুরু করার আগেই আমরা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ি। তার পরেও শিক্ষামন্ত্রী গাড়ি চালু করার নির্দেশ দেন। গাড়ির গতি যখন ক্রমশ কমতে থাকে তখন আমরা চালককে বলি, গাড়ির গতি কমাতে। আমরা সরে যেতে চাই। কিন্তু তখন গাড়ির গতি কমানোর বদলে বাড়িয়ে দেন চালক। তখনই আমি চাপা পড়ি। এটা যদি খুনের চেষ্টা না হয় তাহলে আর কোনটা খুনের চেষ্টা?’