চাকরি হারিয়েছেন, তবুও চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় রয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই আশা নিয়েই রবিবার সকালে ফের কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন তাঁরা। রবিবার সকালে তিনজন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা, মিতা সরকার এবং নির্মল বারকান্দজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনের সামনে পৌঁছান। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের সমস্যার কথা জানানো। তবে এবারও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা দেখা করতে পারলেন না। তার আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিয়ালদা স্টেশন থেকে বের হতেই জমায়েতের আগে আটক চাকরিহাদের, অতিসক্রিয় পুলিশ!
এদিন তাঁরা মিলন সংঘ ক্লাব পর্যন্ত পৌঁছলেও আর এগোনোর অনুমতি পাননি। ফলে সেখানেই থেমে যেতে হয় তাঁদের। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অফিসারদের (সিএমও) সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। তাঁদের কাছে নিজেদের নথি ও ফোন নম্বর দেন। চাকরি হারানো শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা জানান, তাঁরা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী একবার তাঁদের আমাদের কথা শুনুন। আগেও তাঁরা গিয়েছিলেন তখন দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, আজ অন্তত তাঁরা ক্লাবের ভিতরে ঢুকতে পেরেছেন। অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে রাজি হলে হলে ফোন করে জানানো হবে।
এর আগেও গত বৃহস্পতিবার ছয়জন চাকরি হারানো শিক্ষিকা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতি ছিল না বলেই জানা যায়। তবুও হাল ছাড়েননি তাঁরা। এদিন ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে পৌঁছন তাঁরা।
শিক্ষকদের বক্তব্য, পরীক্ষায় পাশ করেই তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। ফলে ফের তাঁরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য চাকরির পরীক্ষায় বসতে চান না। তাঁদের যেন পরীক্ষায় বসতে না হয় তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে চান।
প্রসঙ্গত, ৩০ মে এসএসসির তরফে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, নতুন পরীক্ষার পাশাপাশি পুরনো চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার রিভিউ পিটিশনের দিকেও নজর দিচ্ছে তারা। কিন্তু, চাকরি হারানোদের একাংশ এই প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে পারছেন না।