দাদু ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করাটা কোনও শিশুর পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। এটা বন্ধ করা উচিত নয়। এক টিনএজারের বাবা মায়ের মধ্য়ে সম্পর্ক ঠিকঠাক ছিল না। সেই মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে।
ওই কিশোরী থাকে দিল্লিতে। তার বাবা থাকেন কলকাতায়। তার বাবা আবেদন করেছিলেন যাতে ওই কিশোরীকে তার বাবার সঙ্গে ও তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। হাইকোর্ট ফ্য়ামিলি কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে বালিগঞ্জের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির আবেদন বিবেচনা করা হয়।
২০১৯ সালে ওই কিশোরীর বাবা ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল তিনি আলিপুর কোর্টের কাছে আবেদন করেন যাতে অস্থায়ীভাবে মেয়েকে তার সঙ্গে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর ওই কিশোরীর বাবা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ছুটি ও অন্যান্য় সময়ে যাতে মেয়েকে বাবা ও তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয় তার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে সেই সময় ওই ব্যক্তি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি( কিশোরীর বাবা) বাবা মায়ের কাছে চলে যেতে চাইছিলেন। কারণ তিনি বেশি ভাড়া দিয়ে থাকতে পারছিলেন না। সেক্ষেত্রে তিনি চাইছিলেন যাতে মেয়ে যখন কলকাতায় আসবে তখন যেন দাদু ঠাকুমার কাছে আসে।
পারিবারিক আদালত অবশ্য এই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। পারিবারিক আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই কিশোরীর কলকাতায় আসার দরকার নেই। কারণ ওই কিশোরী আদালতে বলেছিল বার বার তার পক্ষে কলকাতায় আসা সম্ভব নয়। কারণ বার বার কলকাতায় এলে তার স্কুল মিস হয়ে যেত।
তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য গত ২২শে মে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন যে আমাদের সমাজে নাতি নাতনিদের সঙ্গে ঠাকুমা দাদুদের আবেগের একটা সম্পর্ক থাকে।… দাদু ঠাকুমার স্নেহ নাবালক নাবালিকাদের জীবনে একটা ইতিবাচক প্রভাবে ফেলে। পড়াশোনা বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্য়াক্টিভিটিজের তুলনাতেও। সেই সঙ্গেই বিচারপতি বলেছেন, বিপরীত পক্ষ ওই কিশোরীর কলকাতায় আসা বন্ধের পক্ষে কিছু বলেনি। শুধু তাদের পক্ষ থেকে এটা বলা হয়েছে যেন রবিবার বিকাল ৫টার মধ্য়ে ওই নাবালিকা দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে যায়।