বাজারে গিয়ে আলুর দামে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। মারাত্মক সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এবার সেই আলুর দামে রাশ টানতে মাঠে নামলেন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তিনি বলেন, বাংলার আলু বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলার আলু বর্ডার দিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। দালালরা সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। বাংলার আলুর দাম বাড়িয়ে মুনাফা বৃদ্ধি করা চলবে না। অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোকে শক্তিশালী হতে হবে।
টাস্ক ফোর্সকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন মমতা।
এদিকের এসবের মধ্য়ে মিটিংয়ে উপস্থিত এক ব্যক্তিকে রীতিমতো ধমক দেন মমতা। মমতা বলেন, দাঁড়ান মশাই, কথা কম বলুন না। আমি তো জানি, এত কথা বলছেন কেন?
অন্যদিকে দুর্নীতি, টাকা তোলা নিয়েও সরব হয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, আমার এক পয়সাও চাই না। আমি বার বার বলছি। আমার নির্বাচনের জন্য দরকার হলে আঁচল পেতে টাকা নেব। আজ পর্যন্ত বলতে পারবে না সরকারের কাজে এক পয়সা নিয়েছি। কারোর কাছ থেকে। একই আইন..আইন সকলের উপর সমানভাবে প্রয়োগ করা দরকার।
‘সংবাদমাধ্যমে বলছি পজিটিভভাবে দেখুন। নেগেটিভ বলে দেখার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তো স্বচ্ছতা মেনটেন করে কোনও কাজ করতে পারব না। ’
মমতা বলেন, ‘আমাদের ৫০ শতাংশ যদি বাইরে বিক্রি হয়ে যায়! আমরাই টাকা দেব, জমি উর্বর করার জন্য টাকা দেব, সংরক্ষণের জন্য টাকা দেব…যারা চাষি তারা করে না। যারা মিডলম্যান আছে তারা এসব করে। যারা দালালি করে সমাজটাকে শেষ করে দিল। দালালির টাকা একে ওকে তাকে ভাগ দেয়। এটা যাতে না হয়, সকলকে এনিয়ে টেক কেয়ার করতে হবে। অ্যান্টি করাপশনকে শক্তিশালী করো। সিআইডিকে ফের ঢেলে সাজাব। কমপ্লেন এলে ক্রশ চেক করো। অনেক সময় ভুল অভিযোগও আসে। ’
কৃষকবন্ধু প্রকল্পে, শস্যবিমা প্রকল্পের জন্য বিরাট ঘোষণা করেন মমতা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন,' ২৪ হাজারের মতো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুরোধ পেয়েছিলাম। আগামী ডিসেম্বর মাসে ৫ লাখ ৭ হাজার মহিলাকে যুক্ত করা হল। টাকা তারা ডিসেম্বর মাসে পেয়ে যাবে। ৬৫০ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বেশি অতিরিক্ত খরচ হবে। যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা এটা পেয়ে যাবে। অন্যান্য জায়গায় অনেক শর্ত আছে। আমাদের এসব নেই। সকলের জন্য এটা।