মমতার ধমক থেকে বাদ গেলেন না কেউ। মন্ত্রী , আমলা পুলিশ, ডিএম কাউকে নাম করে কাউকে নাম না করে ধমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সঙ্গেই কোন পুরসভা কতটা ভালো কাজ করেছে, কোন পুরসভা ঠিকঠাক কাজ করতে পারেনি তার একেবারে হিসেব দিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
আবাসন, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতা এই তিনটি সূচকের উপর ভিত্তি করে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী এই ফলাফল প্রকাশ করেন।
মমতা জানিয়েছেন, পানীয় জলের ক্ষেত্রে ভালো পুরসভা হল উলুবেড়িয়া, হালিশহর, বৈদ্যবাটি, কলকাতা ও বাঁকুড়া। এদিকে খারাপের তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে শিলিগুড়ি। আর সেই তালিকায় রয়েছে আলিপুরদুয়ার, বালি, বরানগর, শান্তিপুর।
এদিকে কোচবিহার পুরসভার নামও এদিন উল্লেখ করেন মমতা। একেবারে পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, রবি ঘোষের ইচ্ছা হল আর কোচবিহারের কর বাড়িয়ে দিল! তুমি কে ভাই কর বাড়ানোর? রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে কোনও পুরসভা কর বাড়াতে পারবে না। সতর্ক করে দিলেন মমতা।
আবাসনের ক্ষেত্রে সেরা পুরসভার তালিকায় রয়েছে উলুবেড়িয়া, হাবরা, জঙ্গিপুর কৃষ্ণনগর ও মধ্য়মগ্রাম। তবে আবাসনের নিরিখে খারাপ স্থানে রয়েছে বিধাননগর, আসানসোল, কাঁথি ও রায়গঞ্জ। এদিকে এদিন একাধিক পুরসভার ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তুলে দেন মমতা।
এদিকে পুরসভার একটা বড় দিক হল পরিচ্ছন্নতা। সেই পরিচ্ছন্নতার নিরিখে খারাপ জায়গায় রয়েছে কাঁথি, ডালখোলা, পানিহাটি, সিউড়ি।
অন্য়দিকে এই পরিচ্ছন্নতার নিরিখে কিছুটা ভালো জায়গায় রয়েছে কলকাতা, বসিরহাট, বৈদ্যবাটি, উত্তরপাড়া, উত্তর দমদম ও নবদ্বীপ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন জানিয়ে দেন, বিধাননগর, নিউটাউনে বেআইনি নির্মাণ করে বিদ্যুৎ সংযোগও পেয়ে যাচ্ছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে, পুরসভা, পুলিশ কেউ কিছু দেখেও দেখে না। যারা কিছুই দেখে না, তাদের সরিয়ে দেব।
তিনি বলেন, কাজ করছে না পুরসভা। আর রাগ হচ্ছে সরকারের উপর। প্রতিটি পুরসভায় গিয়ে মানুষ হয়রান হয়।
মমতা বলেন, ‘এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে বেরোতে হবে? শুধু উপর দেখলে হবে? নীচে দেখতে হবে না? রাস্তা দেখে না, আলো দেখে না। শুধু ট্যাক্স বাড়ানো আর লোক বসাচ্ছে। এছাড়া প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
মমতা বলেন, ‘অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। তার মানে এটা নয় যে গায়ের জোরে জমি দখল করবেন এটা নয়।…’