পথশ্রী প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা এবং রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (আরআইডিএফ) অধীনে রাজ্যে প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হচ্ছে। সেই কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। পরিকল্পনা রয়েছে বর্ষার আগে কাজ শেষ করার। কারণ বর্ষা চলে এলে কাজের গতি কমে যেতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে কেন্দ্রের তরফে গ্রামীণ সড়ক যোজনায় বাকি বরাদ্দ আটকে যেতে পারে। এই অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে বড় পদক্ষেপ করল পঞ্চায়েত দফতর। (আরও পড়ুন: 'যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেখিয়ে...', মানবিক করিডোরের নামে ইউনুসের ছক 'ফাঁস')
আরও পড়ুন: পথশ্রী প্রকল্পের হতশ্রী চেহারা, পাকা রাস্তা না থাকায় হাসপাতালের পথেই মৃত্যু বধূর
সূত্রের খবর, সড়ক নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জেলায় জেলায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতরের ছয় উচ্চ পদস্থ অধিকারিকদের নিয়ে তিনটি প্রতিনিধি দল তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিনিধি দল রাজ্যের ২২টি জেলায় পরিদর্শন করে কাজ খতিয়ে দেখবে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা ৩- এর অধীনে রাজ্যে বর্তমানে ৩০০০ কিমি দৈর্ঘ্যের ৪০০টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর জন্য কেন্দ্রের তরফে ১৪৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর রাজ্যের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ১২০০ কিলোমিটার কাজের অনুমোদন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্তমানে চলা কাজগুলি শেষ হলে সেই অনুমোদন বরাদ্দের জন্য জোরদার দাবি করতে পারবে রাজ্য সরকার। তাই দ্রুত কাজগুলি শেষ করতে চাইছে নবান্ন। (আরও পড়ুন: ইসলামের নামে নর্থইস্ট দখলের 'শখ' প্রাক্তন বাংলাদেশি সেনাকর্তার, পেলেন যোগ্য জবাব)
অন্যদিকে, আরআইডিএফ-এর অধীনে ১০৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১৪৮টি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।এর জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কয়েক হাজার রাস্তা তৈরির কাজ ও সংস্কার চলছে । তবে এর অধীনে রাজ্যে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার কাজ চলছে। (আরও পড়ুন: ভারতীয় করদাতাদের টাকায় সুবিধালাভ অবৈধবাসী বাংলাদেশিদের, দিব্যি পাচ্ছে ভর্তুকি)
জানা যাচ্ছে, এসব কাজ করতে দেখতে চলতি মাসে প্রতিনিধি দল পাঠাবে পঞ্চায়েত দফতর। এই দল কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবে। যদি কোনও ক্ষেত্রে কাজ ধীর গঠিত হয় তাহলে কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে সূত্রের খবর। (আরও পড়ুন: নারীর অধিকার অস্বীকার করে ভারতের মুসলিমদের জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বাংলাদেশে)
জানা গিয়েছে, প্রথম দলটি যাবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মূর্শিদাবাদ এবং উত্তর বঙ্গের দুটি জেলা পরিদর্শন করবে। দ্বিতীয় দল দায়িত্বে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভুম এবং উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবে। আর তৃতীয় দল মূলত নদিয়া , দুই ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলি পরিদর্শন করবে। জানা যাচ্ছে, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে গত এক বছরে ১ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের আবেদন এসেছে। সেগুলি যাচাই করা হচ্ছে।