বিজেপির কার্যকারিনী বৈঠকে দেখা মিলল না রেখা পাত্রের। বুধবার ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে, কেন এই খারাপ ফলাফল হল তা খতিয়ে দেখতে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির এই কার্যকারিনী বৈঠক হয়েছিল। সেখানে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সহ একঝাঁক নেতা নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীরাও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে দেখা মেলেনি সন্দেশখালির রেখা পাত্রের।
এবার প্রশ্ন তিনি কোথায় গেলেন?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালির বধূ রেখা পাত্রকে এবার প্রার্থী করেছিল বিজেপি। খোদ নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোন করেছিলেন। একটা সময় তাঁকে প্রার্থী হিসাবে স্বীকার করতে চাননি স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। এরপর বিজেপি কোনওরকমে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে। তবে ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল ভোট বাজারে একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি রেখা।
এরপর রেখা পাত্র গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যান। একেবারে থমথমে মুখে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর পাহারার দায়িত্বে ছিলেন সেই সময়। পরে রেখাকে আর সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি।
এমনকী সল্টলেক সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির ফলাফল পর্যালোচনা মিটিংয়েও দেখা গেল না রেখা। এখানেই প্রশ্ন গেলেন কোথায় রেখা? সংবাদমাধ্য়মের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সন্দেশখালি দ্বীপের পাত্র পাড়ায় একচিলতে ঘর রেখা পাত্রর। পরিবারের অবস্থা একেবারেই স্বচ্ছল নয়। কিন্তু সেই পরিবারের বধূকেই সংসদে পাঠাতে চেয়েছিল বিজেপি। ওই বধূই একদিন রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শেখ শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে। তবে সংসদে যাওয়া হয়নি রেখা পাত্রের।
এদিকে ভোটের প্রার্থী করার পরে রেখা পাত্র সন্দেশখালির ওই চালাঘর ছেড়ে উঠে এসেছিলেন বসিরহাটে। সেখানকার একটি ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন বলে খবর। এরপর ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে তিনি সল্টলেকের একটি জায়গায় চলে যান বলে খবর। তবে ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপির বিভিন্ন আন্দোলনে আর তাঁকে বিশেষ দেখা যায় না। সংবাদমাধ্য়মকেও এড়িয়ে চলেন তিনি।
এবার তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নিয়েও কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে ভোটের পর থেকেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ নিয়ে আর বিশেষ উচ্চবাচ্য করে না বিজেপি। কার্যত এবারের ভোটে সন্দেশখালি ইস্যু বিজেপিকে বিশেষ সুবিধা করে দিতে পারেনি। তাই সন্দেশখালি এখন অতীত।