সম্প্রতি প্রত্যেক জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে পথ নিরাপত্তা নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসি ঠিক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে জেলা শাসকরা ছাড়াও ছিলেন পরিবহণ দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা এবং পুলিশ কর্তারা।
গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পলিসি আনছে রাজ্য। প্রতীকী ছবি
রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রায়ই পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর ফলেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। ইতিমধ্যেই পথ দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর পথ দুর্ঘটনা কমাতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার ওপর জোর দিতে চায়ছে রাজ্য সরকার। তাই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসি নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। কোন এলাকায় গাড়ির গতি কত হবে এই পলিসিতে তা ঠিক করা হবে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গতির উপরে গাড়ি চালালে কী পদক্ষেপ করা হবে তাও ঠিক করে দেওয়া হবে। এই পলিসির মাধ্যমে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি প্রত্যেক জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে পথ নিরাপত্তা নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসি ঠিক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে জেলা শাসকরা ছাড়াও ছিলেন পরিবহণ দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা এবং পুলিশ কর্তারা। জানা গিয়েছে, স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসির খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইআইটি খড়গপুরকে। ইতিমধ্যেই খসড়া তৈরি হয়েছে। সাধারণত, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং, রোড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং দুর্ঘটনার কারণ সবকিছু মাথায় রেখেই এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। শহরে গাড়ির গতি কত হবে? গ্রামীণ এলাকার রাস্তায় গাড়ির গতি কত হবে? তা ঠিক করা হবে। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট করে দেওয়া গতি মানা হচ্ছে কি না তার জন্য সর্বক্ষণের নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে নিয়ম না মানলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রত্যেক জেলাকে রোড সেফটি নিয়ে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এর জন্য জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরে নিয়মিত বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।