আশঙ্কা ছিলই। এবার সেটাই হল। আজ, বুধবার রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু তিনি এই বৈঠকে থাকছেন না বলে টুইট করেছেন। সুতরাং আমন্ত্রণ পেয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা না করার জেরে তিনি প্রটোকল ভাঙলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়ে অভিযোগ করেন, আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছে, কে ওই চেয়ারে বসবেন। এখন নিয়মরক্ষার বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাই তিনি যাচ্ছেন না।
ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? আগেও একবার তিনি যাননি। তখন বৈঠক ছিল নবান্নে। এবার বৈঠক হওয়ার কথা বিধানসভায়। সেখানে যোগ দেওয়ার আগে টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘আমি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য কমিটির বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। আর পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।’ এমনকী এই বৈঠককে ‘প্রহসনমূলক প্রক্রিয়া’ বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সেটাও যুক্ত করেছেন নিজের টুইটে।
বৈঠকের নিয়ম ঠিক কী? এই বৈঠকের প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রীকে বৈঠকে থাকতে হয়। আজ, বুধবার বিধানসভায় এই বৈঠক হচ্ছে। আর ৬ মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদে কেউ নেই। তবে এখন ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেছেন। সেখানে চারজনকে বয়সের কারণে বাদ দিতে হয়েছে। আর ১১ জনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের পর খাদ্যভবনে বসবেন।
আগে ঠিক কী ঘটেছিল? ২০২২ সালে মুখ্য তথ্য কমিশনার বাছতে নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নানান অভিযোগ তুলে বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এবার আবার তিনি নতুন কারণ তুলে ধরলেন। সেটা জানিয়ে টুইট করলেন। তবে তিনি যে অনুপস্থিত থাকতে পারেন সেটা আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup